লালমনিরহাট জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমানের বোনের বাসায় হামলার ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জাবেদ হোসেন বক্করের বিরুদ্ধে শুক্রবার মামলা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার সাহেবপাড়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগ নেতার নামে ওই মামলা প্রত্যাহার করা না হলে আগামী সোমবার জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে জেলা ছাত্রলীগ। মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে শুক্রবার রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, ছাত্রলীগ সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্করসহ কতিপয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মী এ হামলার সাথে জড়িত। তবে জাবেদ হোসেন বক্করের দাবী, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে তার বিরুদ্ধে এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হয়েছে।
এ দিকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্করের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রতিবাদে ও মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে জেলা ছাত্রলীগের কার্যালয়ে শুক্রবারা রাতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা ছাত্রলীগ। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দলীয় কোন্দলের কারণে ছাত্রলীগ সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্করসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলা প্রত্যাহার করা না হলে আগামী সোমবার জেলায় সকাল সন্ধ্যা হরতাল পালন করেবেন জেলা ছাত্রলীগ।
ভুক্তভোগী পরিবারটি জানান, সাবেক ছাত্র নেতা সবুজকে খুঁজতে এসে তাকে না পেয়ে জানালা দরজা ভাঙচুর করে হামলাকারীরা। এ সময় বাধা দিতে গিয়ে হামলার শিকার হন সবুজের মা ফাতেমা বেগম। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ সভাপতি ও সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাবেদ হোসেন বক্করসহ ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মী জড়িত এমন অভিযোগ হামলার শিকার পরিবারটির।
লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান এ ঘটনার জন্য জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্করকে দায়ী করে বলেন, অতীতেও তার বিরুদ্ধে এমন ঘটনার অভিযোগ রয়েছে। দলীয়ভাবে আলোচনা করে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তবে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্কর বলেন, আওয়ামীলীগের দলীয় কোন্দলের কারনে আমি প্রতিহিংসার রাজনীতির শিকার। একটি মহল এ জেলায় আওয়ামীলীগকে পারিবারিক একটি প্রাইভেট কোম্পানি হিসেবে তৈরী করতে চায়। আমার বিরুদ্ধে থানায় যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম জানান, এ ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্করের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।