নিজের ১৮তম জন্মদিন পালন করতে দেড় বছরের মেয়েকে ঘরে একা রেখে যান মা। বাসায় ফেরেন ৬ দিন পর। এসে আর বাচ্চাকে জীবিত দেখতে পান নি। ক্ষুধা, ডিহাইড্রেশন আর জ্বরে ততদিনে ছোট্ট মেয়েটি চলে গেছে না ফেরার দেশে।
ঘটনাটি ঘটে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাজ্যের ব্রাইটন শহরে। অভিযুক্ত ওই নারীর নাম ভার্পি কুডি। আর তার সন্তানের নাম ছিল আসিয়াহ। সূত্র দ্যা ডেইলি মেইল।
আসিয়াহর মৃত্যুতে অভিযোগের তীর ওঠে তার মায়ের দিকে। ময়নাতদন্তেও এর সত্যতা মেলে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে বলা হয়, অবহেলার কারণেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। হত্যা মামলা দায়ের করে গ্রেপ্তার করা হয় শিশুটির মা ভার্পিকে। বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) এই মামলার শুনানিতে আরও রহস্য উন্মোচিত হয়।
জানা যায়, শুধু সেবারই নয়, তার আগেও আসিয়াহকে বাসায় একা রেখে চলে গেছে তার মা। সে বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর এই তিন মাসে ১১ বার মেয়েকে একা রেখে কাজে চলে গেছে ভার্পি। মেয়েকে অবহেলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীসহ অন্য বাসিন্দারাও।
তবে ডিসেম্বরে টানা ছয়দিন ফেলে যাওয়ায় ক্ষুধা আর পিপাসায় মারা যায় বিশ মাস বয়সী আসিয়াহ। পার্টি শেষে ফিরে এসে আসিয়াহর শারীরিক অবস্থা দেখে ভার্পি জরুরি নম্বরে ক্ল দেন। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
সপ্তাহখানেকের মধেই আসিয়াহ হত্যায় তার মায়ের রায় ঘোষণা করবেন আদালত। তবে মেয়ের প্রতি অবহেলার ঘটনা বেশ কয়েকবার ঘটার প্রেক্ষিতে ভার্পির সাজার বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তার স্বজনদের।