আইপিএলে প্রত্যাবর্তনটা রাঙাতে পারলেন না সাকিব। ব্যাট হাতে কোলকাতার ইনিংসের শেষের দিকে নেমে ৫ বলে ৩ রান খুব একটা দৃষ্টিমধুর না হলেও বোলিংয়ের শুরুতেই চমক দেখান। নিজের করা প্রথম ওভারের শুরুতেই ফেরান ঋদ্ধিমান সাহাকে। পরে অবশ্য সেই ছন্দটা ধরে রাখতে পারেন নি সাকিব। নির্ধারিত কোটার ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩৪ রানে নিয়েছেন শুধু সাহার উইকেটই। তবে সাকিবের মলিন দিনে দারুণ জয়ে আসর শুরু করেছে তার দল কোলকাতা নাইট রাইডার্স।
আইপিএলের ১৪তম আসরে রোববার (১১ এপ্রিল) চেন্নাইয়ের চিপোকে এম চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করা কলকাতা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রান তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে হায়দ্রাবাদ ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রানে থামে হায়দ্রাবাদের ইনিংস।
কোলকাতার হয়ে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮০ রান আসে নিতিশ রানার ব্যাট থেকে। ৫৬ বলের মোকাবেলায় তিনি হাঁকান ৯টি চার ও ৪টি ছক্কা হাঁকান। রাহুল ত্রিপাঠি ২৯ বলে ৫৩ ও দীনেশ কার্তিক ৯ বলে অপরাজিত ২২ রান করেছেন। শেষদিকে ব্যাট হাতে নেমে ৫ বলে ৩ রান করে ইনিংসের শেষ বলে আউট হন সাকিব। হায়দরাবাদের পক্ষে দুই আফগান রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবী শিকার করেন দুটি করে উইকেট।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দ্বিতীয় ওভারে অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারকে হারায় সানরাইজার্স। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে সাকিব সাজঘরে ফেরান ঋদ্ধিমান সাহাকে, নিজের প্রথম বলেই বোল্ড করে।
পরে ৩৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিলেও শেষ পর্যন্ত দলকে জেতাতে পারেননি মানিশ পান্ডে। ১১ রান করে বিজয় শঙ্কর ফেরার পর কামিন্সের এক ওভারে দুই ছক্কা মেরে হায়দরাবাদকে ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন সামাদ। তবে ম্যাচ জেতাতে পারেননি সামাদ ও মানিশ। শেষ পর্যন্ত নির্ধারত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে হায়দরাবাদ থামে ১৭৭ রানে। মানিশ অপরাজিত ছিলেন ৬১ রানে আর সামাদ ৮ বলে ১৯ রান করে।
৫৬ বলে ৪ ছয় আর ৯ চারে ৮০ রান করে ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছে কোলকাতার নিতিশ রানা। আগামীকাল সোমবার একই সময়ে মুস্তাফিজদের রাজস্থানের বিপক্ষে লড়বে পাঞ্চাব কিংস।