করোনাকালে মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করতে দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ এলাকা ৪জি নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
রোববার (১১ এপ্রিল) ঢাকায় ই-ক্যাব আয়োজিত করোনা পরবর্তী পৃথিবীতে বৈশ্বিক বাজারে ডিজিটাল কমার্স সংক্রান্ত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টারনেট ব্যয় নয়, এটি বিনিয়োগ। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এরই মধ্যে ৫৮৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফ্রি ওয়াই ফাই জোন করে দেয়া হয়েছে। ছাত্র ছাত্রীদের জন্য টেলিটক ফ্রি ইন্টারনেট দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশব্যাপী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় ফ্রি ওয়াই ফাই জোন চালু করা হবে।
মন্ত্রী আরো জানান, বিটিসিএল ১২ হাজার ফ্রি ওয়াইফাই জোন তৈরি করছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী যাতে সহজে পায় সে লক্ষ্যে স্বল্প মূল্যে তাদের স্মার্ট ফোন সরবরাহ করার বিষয়টি নিয়েও সরকার চিন্তাভাবনা করেছে।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, হাওর, দ্বীপ ও দুর্গম চরাঞ্চলসহ দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে উচ্চ গতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতেই তা সম্পন্ন হবে।
ডিজিটাল কমার্সকে বড় প্ল্যাটফর্ম উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রচলিত সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত তরুণদের কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা সৃষ্টির জন্য ডিজিটাল কমার্স একটি বড় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে উঠছে। আগামীর বাংলাদেশে কেবল বাণিজ্যই নয়; শিক্ষা, কৃষি, চিকিৎসা ও কলকারখানাসহ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র ডিজিটাল মহাসড়ক দিয়েই এগিয়ে যাবে।
ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, ভূমি সচিব মোস্তাফিজুর রহমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন, বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন এবং ই-ক্যাবের সেক্রেটারি আবদুল ওয়াহেদ তমাল বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে এটুআই কর্মকর্তা রেজোয়ানুল হক জামি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।