১২৯ রানে জয়ের থেকে ১৬ রান দূরে রেখে যখন ফাহিম আশরাফ ফিরলো, তখন হয়তো অনেকে ভেবেই নিয়েছিলো ম্যাচ হারছে পাকিস্তান। সে ভাবনাকে গুড়িয়ে দিয়ে এক বল আগেই ম্যাচ এবং এর সাথে টি টুয়েন্টি সিরিজটাও নিজেদের করে নিলো মোহাম্মদ নওয়াজরা। শেষের দিকে ২১ বলে ১ চারে নওয়াজের ব্যাক্তিগত ২৫ রানেই নিশ্চিত হলো পাকিস্তানের জয়।
সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্ট পার্কে খর্বশক্তির দলে রুপ নেয়া প্রোটিয়াদের বিপক্ষে শেষ টি টুয়েন্টিতে জিতে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নিলো পাকিস্তান।
এদিন টস হেরে প্রোটিয়াদের ভালো শুরু এনে দিতে পারেনি এইডেন মাকারাম। দলীয় ১৬ রানের মাথায় ৫ বলে ১১ করে ফেরার পরে পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটি করেন জানেমান মালান ও ভ্যান ডার ডুসেন। ৭৩ রানে ৩৩ রানে মালানকে ফেরান দিনের অন্যতম সেরা পাকিস্তানি বোলার ফাহিম আশরাফ। এর পরে ৩৬ বলে ফিফটি পুরণ করে হাসান রউফের বলে ফিরেন ভ্যান ডার ডুসেন (৫২ রান)। ১০৯ রানে অধিনায়ক ক্লাসেন (৯) ফেরার পরে ভাঙন ধরে প্রোটিয়াদের ইনিংসে। পরের ৪৩ রানের মাঝে হাসান আলী-হারিসদের তোপে শেষ ৭ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
পাকিস্তানের হয়ে ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রানের বিনিময়ে ৩ উিইকেট তুলে নেন ফাহিম আশরাফ। এ কারণে হয়েছেন ম্যাচ সেরাও। এছাড়া তিনটি উইকেট নিয়েছেন হাসান আলী। দুটি উইকেট শিকার করেছেন হারিস রউফ। একটি করে উইকেট পেয়েছেন শাহিন শাহ ও মোহাম্মদ নওয়াজ।
নিজেদের ইনিংসে ১৪৫ রানের ছোট টার্গেটে শুরুতেই ধাক্কা খেলেও বাবর-ফখরের ৯২ রানের জুটিতে ভালোই এগোচ্ছিল পাকিস্তান। উইলিয়ামসের বলে ৩৪ বলে ৬০ রানে ফখরের ফেরার পরে বেশিক্ষণ থাকতে পারেন নি অধিনায়ক বাবর আজমও। গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান এ ম্যাচে করেছেন ২৩ বলে তিন চারে ২৪ রান।
দলীয় ৯৮ রানে বাবরের ফেরার পরে মাত্র ১৭ রান যোগ করতেই পাকিস্তান হারিয়েছে আরো ৩ উইকেট। একসময় মনে হচ্ছিল হেরেই যাচ্ছে বুঝি পাকিস্তান। শেষের দিকে ত্রাতা হয়ে এলো মোহাম্মদ নওয়াজ। ফাহিম আশরাফ ও হাসান আলীকে নিয়ে জুটি করে ১ বল আগেই সিরিজ নিশ্চিত করে অপরাজিত নওয়াজ।
ছোট টার্গেটে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন প্রোটিয়া বোলার লিজারড-তাবরাইজরা। চার ম্যাচের টি টুয়েন্টি সিরিজের পুরো সিরিজ জুড়ে ধারাবাহিক থাকা পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম হয়েছেন সেরা ক্রিকেটার।