করোনার হানায় টালমাটাল ভারত। দেশটিতে শনাক্ত করোনার ধরন নিয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়েছে আতঙ্ক। আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, এমন ব্যক্তিকেও আবার আক্রান্ত করতে সক্ষম ভাইরাসের নতুন ট্রিপল ভ্যারিয়েন্ট মিউটেশান B.1.168 (বেঙ্গল স্ট্রেইন)। মারাত্মক সংক্রমক এই বেঙ্গল স্ট্রেইনের বাংলাদেশে প্রবেশ প্রতিরোধ লক্ষ্যে ভারত থেকে আগমন ও প্রস্থান বাতিল করতে আগামী ৩০ দিন সীমান্ত বন্ধ করার জোর দাবি জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য সংগ্রাম পরিষদ।
শনিবার (২৪ এপ্রিল) জনস্বাস্থ্য সংগ্রাম পরিষদ আহবায়ক ডা. ফয়জুল হাকিম, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা হারুন অর রশিদ,জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা রওশন আরা, জনস্বাস্থ্যসেবা সংগঠক অনুপ কুণ্ডু ও সামিউল আলম এক যুক্ত বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, মহামারি কোভিড-১৯ প্রতিরোধে প্রথম থেকেই জনগণকে সম্পৃক্ত করার নীতি গ্রহণ না করে শেখ হাসিনা সরকার আমলা নির্ভর ভ্রান্ত নীতি গ্রহণ করায় দেশের জনস্বাস্থ্য আজ এক হুমকির মুখে পড়েছে। কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ না হয়ে কমিউনিটি পর্যায়ে সংক্রমণ বিস্তার স্থায়ী হতে চলেছে।
এদিকে, শনিবার কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ বলেন, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে খুব বেশি যাতায়াত হলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি অবশ্যই আছে।
তিনি বলেন, আমরা সীমান্তে কড়াকড়ি করতে বলছি। আসা-যাওয়া সীমিত করতে হবে। এর মানে একেবারে প্রয়োজন ছাড়া কেউ ভ্রমণ করবেন না। কোনো রকম পর্যটন, বিনোদন বা সাধারণ কারণে যাতায়াত বন্ধ করা যেতে পারে।
শনিবারও ভারতে রেকর্ড তিন লাখ ৪৬ হাজার ৭৮৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে রেকর্ড দুই হাজার ৬২৪ জন রোগী মারা গেছেন বলে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে করোনাভাইরাসে মৃত্যু সংখ্যা এক লাখ ৮৯ হাজার ৫৪৪ জনে পৌঁছেছে।