তিন পেস ত্রয়ী মুস্তাফিজুর রহমান-ক্রিস মরিস-জয়দেব উনাদকাটদের তোপে ছোট টার্গেটে ছোড়া কোলকাতাকে হারিয়ে জয়ে ফিরলো রাজস্থান। বোলিংয়ে পেস ত্রয়ীর তোপের পরে ব্যাট হাতে অপরাজিত ৪২ রান করে জয়ের সঙ্গি হন অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। এ জয়ে ৫ ম্যাচে ২ জয়ে পয়েন্টে টেবিলের তলানি থেকে ছয়ে উঠেছে সঞ্জু-মোস্তাফিজদের দল। অন্যদিকে ৫ ম্যাচে ৪ হারে টেবিলের তলানিতে অবস্থান করছে কোলকাতা নাইট রাইডার্স।
শনিবার মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটে নেমে ভালোই শুরু পেয়েছিলো কোলকাতা। তবে ষোল কোটি টাকার মরিস আর মুস্তাফিজে খেই হারানো মরগান-গিলরা নির্ধারিত ১৩৩ রানে থামে নয় উইকেট হারিয়ে।
এদিন শুভমন গিল রান আউট হয়ে ফিরলে শুরু হয় কোলকাতার উইকেট পতন। এর পরে অধিনায়ক মরগানও রান আউট বনে যান কোন রান না করেই। রাজস্থানের তিন পেস ত্রয়ীর তোপে এরপরে আসা যাওয়ার উপর থাকে রাসেল-কামিন্সরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৬ বলে ৩৬ রান করে চোখ রাঙানো রাহুল ত্রিপাঠীকে ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান। ম্যাচে কোলকাতার হয়ে ২য় সর্বোচ্চ স্কোর গড়েন দিনেশ কার্তিক (২৪ বলে ২৫ রান।)
চার ওভার বোলিং করে ২৩ রান দিয়ে একাই চার উইকেট নিয়ে নাইট শিবির ধসে দেন ক্রিস মরিস। ৪ ওভরে ২২ রান দিয়ে ১টি উেইকেট শিকার করেন টাইগার ক্রিকেটার মোস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন চেতন সাকারিয়া ও জয়দেব উনাদকাট।
জবাবে শুরুর দিকে পাওয়ার প্লেতে জস বাটলারকে (৫) রানে ফেরান বরুন। এর পরে দারুন এক জুটি গড়ে ফেরেন যশ্বসী জসওয়াল (১৭ বলে ২২ রান)। এছাড়া শিবম দুবে ১৮ বলে ২২ রান এবং রাহুল তেওয়াটিয়ার ৫ রান করে ফিরলেও দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক সঞ্জু ও ডেভিড মিলার। ৪১ বলে ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন রাজস্থান কাপ্তান। এছাড়া ২৩ বলে ২৪ রান করে জয়ে দারুণ ভুমিকা রাখে প্রোটিয়া ক্রিকেটার ডেভিড মিলার।
কোলকাতার সাকিব আল হাসান বিহীন ম্যাচে ৪ ওভারে ১৯ রানে ১ উইকেট নেন শিবাম মাভি। চার ওভারে ৩২ রান দিয়ে দুই উইকেট শিকার করেন বরুণ চক্রবতী। একটি উইকেট নিয়েছেন প্রদিশ কৃষ্ণা।
রাজস্থানের হয়ে চার উইকেট নেওয়া প্রোটিয়া অলরাউন্ডার ক্রিস মরিস হয়েছেন ম্যাচ সেরা। আজ মুম্বাইয়ের ওয়াখেড়ে স্টেডিয়ামে চেন্নাইয়ের মুখোমুখি হবে রয়াল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালুরু। একই দিনে রাতে চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বর স্টেডিয়ামে পাঞ্জাব কিংসের মুখোমুখি হবে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস।