আসরে শুরুতে জয়ের দেখা পেলেও দ্বিতীয় জয় পেতে অপেক্ষা করতে হলো ৫ ম্যাচ। পাঞ্জাব কিংসকে ৫ উইকেটে হারিয়ে অবশেষে জয়ের দেখা পেল সাকিববিহীন নাইটরা। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের তলানি থেকে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে মরগান-কার্তিকদের দল।
সোমবার আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৩ রান সংগ্রহ করে পাঞ্জাব। ১২৪ রানের লক্ষ্য ৫ উইকেট হারিয়ে ২০ বল বাকি থাকতেই টপকে যায় মরগানের দল।
এদিন শুরুর দিকে শুভমান গিল ৯ রান করতে পারলেও রানের খাতা খুলতে পারেনি নিতিশ রানা এবং শুভমান গিল। এরপর দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌছানোর জন্য ৬৬ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক মরগান এবং রাহুল ত্রিপাঠি।
৩২ বলে ৪১ রান করে ত্রিপাঠি ফিরে গেলেও দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন রান খরায় ভোগা ইংলিশ ক্রিকেটার মরগান। ৪০ বলে ৪৭ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন কলকাতার অধিনায়ক। এর পরে ১০ রান করে ফিরলেও কিপার ব্যাটার দিনেশ কার্তিক ১২ রান করে মরগানের সঙ্গে অপরাজিত থাকেন।
ম্যাচের শুরুতে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ৩৬ রানের সময় রাহুলের উইকেট হারায় পাঞ্জাব। ২০ বলে ১৯ রান করে প্যাট কামিন্সের বলে আউট হয়ে যান পাঞ্জাব অধিনায়ক। এর ২ রান পরই আউট হন ক্রিস গেইলও।
শিভাম মাভির বলে কোন রান যোগ করার আগেই আউট হন ইউনিভার্স বস। ৪২ রানের মাথায় আউট হন দিপক হুদাও। এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১ রান। এরপর মায়াঙ্ক আগারওয়ালের সঙ্গে ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নেন নিকোলাস পুরাণ।
সুনিল নারিনের স্পিনে আগারওয়াল আউট হন ৩৪ বলে ৩১ রান করে। মইসেস হেনরিকস ২ রানের বেশি করতে পারেননি। তাকেও ফেরান নারিন। ১৯ বলে ১৯ রান করা পুরাণ ও আউট হন এর ৪ রান পরেই। ৮ নম্বরে নেমে ক্রিস জর্ডান কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। যদিও তিনি ১৮ বলে ৩০ রানের বেশি করতে পারেননি। শাহরুখ খানের ব্যাট থেকে আসে ১৩ রান।
এই দুজনকেই আউট করে ডানহাতি পেসার প্রসিদ্ধ কৃষ্ঞা। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১২৩ রান সংগ্রহ করে পাঞ্জাব। কলকাতার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন কৃষ্ঞা। আর ২ টি করে উইকেট শিকার করেন কামিন্স ও নারিন। দুর্দান্ত ব্যাটিং করার উপহার স্বরুপ ম্যাচ সেরার পুরুস্কার ওঠে নাইটদের অধিনায়ক ইয়ন মরগানের হাতে।