করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত বিশ্ব। এই মহামারিতে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ধস নেমেছে। তারপরও ২০২০ সালে রেকর্ড পরিমাণ বৈদেশিক বিনিয়োগ পেয়েছে সৌদি আরব। বিশ্বব্যাপী মহামারি সত্ত্বেও প্রথমবারের মতো ৫৩ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি বিপুল এ বিনিয়োগ পেয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশটি। আগের বছরের তুলনায় গত বছর দেশটিতে বৈদেশিক বিনিয়োগ মূল্য ৯ শতাংশ বেড়েছে। খবর আরব নিউজ।
সৌদির কেন্দ্রীয় ব্যাংক সৌদি অ্যারাবিয়া মনিটারি এজেন্সি (এসএএমএ) জানিয়েছে, গত বছর দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ আগের বছরের চেয়ে ৪ হাজার ৬২১ কোটি ডলার বেড়েছে। ২০১৯ সালের শেষ নাগাদ বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৪৯ হাজার কোটি ডলার।
সৌদি আরবের একজন শুরা কাউন্সিল (সংসদ) সদস্য এবং সৌদি অর্থনৈতিক সংস্থার পরিচালক ফাদেল আল বুয়াইনাইন বলেন, আমাদের এ অর্জন মনে রাখার মতো এবং এটি সৌদির বাজারকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলবে। রাজতন্ত্রের নেয়া ভিশন ২০৩০-এর ফলেই এ ধরনের অগ্রগতি সম্ভব হচ্ছে। এসব বৈদেশিক অংশীদারিত্ব সভেরিন ওয়েলথ ফান্ড ও পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়।
সৌদি আর্থিক বিশ্লেষক তালাত জাকি হাফিজ বলেন, সৌদি আরবে মূলধন বৃদ্ধি মূলত দেশটিতে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট হতে সহায়তা করেছিল। বেশ কয়েকটি বিনিয়োগ আইনকে যুগোপযোগী করে তোলার ফলে এমনটা সম্ভব হয়েছে।
হাফিজ জানান, এরই মধ্যে আগামী ১০ বছরের জন্য বিদেশী বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সরকার ২৭ লাখ কোটি সৌদি রিয়ালের একটি ঘোষণা দিয়েছে। জ্বালানি তেল থেকে সরে এসে বিনিয়োগের এ বৈচিত্র্য দেশী ও বিদেশী সব ধরনের বিনিয়োগকারীকে আকৃষ্ট করবে বলে জানান হাফিজ।
গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে ৪৬৬টি বিদেশী বিনিয়োগ লাইসেন্স ইস্যু করেছে সৌদির বিনিয়োগ মন্ত্রণালয়। ২০০৫ সালের পর এ সময়েই সবচেয়ে বেশি পরিমাণে বিনিয়োগ লাইসেন্স ইস্যু করা হয়, যা গত বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের চেয়ে ৫২ শতাংশ বেশি ও ২০১৯ সালের একই সময়ের তুলনায় ৬০ শতাংশ বেশি। এ বিনিয়োগ দেশটিকে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের ডুয়িং বিজনেস ২০২০ রিপোর্টে ভালো অবস্থান তৈরিতে সাহায্য করেছে।