গুলশানে ফ্ল্যাটে মোসারাত জাহান মুনিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় ‘আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়া’র অভিযোগে করা মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীর হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে করা আবেদনের শুনানি হচ্ছে না।
পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে আগাম জামিন শুনানি বন্ধ থাকবে।
গতকাল বুধবার (২৮ এপ্রিল) রাতে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে আবেদনটি কার্যতালিকার ১৪ নম্বরে ছিল। বৃহস্পতিবার উল্লিখিত বেঞ্চে আবেদনটির শুনানি হওয়ার কথা ছিল।
আদালতের শুরুতেই বিচারপতি মামনুন রহমান বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন চলাবস্থায় আমরা কোনও আগাম জামিন শুনবো না।’
মুনিয়ার আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে করা মামলার আসামি সায়েম সোবহান আনভীরের পক্ষে আজ আদালতে তিন বাঘা আইনজীবী ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ বিচারপতি (অব.) মনসুরুল হক চৌধুরী, সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও সিনিয়র আইনজীবী এ এফ এম মেজবাহ উদ্দিনের শুনানি করার কথা ছিল।
গত সোমবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গুলশান ২ নম্বরের ১২০ নম্বর সড়কের ফ্ল্যাট থেকে মুনিয়ার ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সোমবার রাতেই রাজধানীর গুলশান থানায় ৩০৬ ধারায় ‘আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়া’র অভিযোগে বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহান আনভীর বিরুদ্ধে মামলা করেন মোসারাতের বড় বোন নুসরাত জাহান। মামলা নম্বর-২৭। এরপরই এ ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়।
এরইমধ্যে গত ২৭ এপ্রিল দুপুরে পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করে সায়েমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত। তবে সায়েম সোবহান আদৌ দেশে আছেন কি না, তা নিয়েও এখন সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে ২৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় পুলিশের গুলশান জোনের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘সায়েম সোবহান দেশের বাইরে চলে গেছেন কিনা, এ ব্যাপারে আমাদের পক্ষ থেকে ইমিগ্রেশনে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে সায়েম দেশের বাইরে যাননি।’
গতকাল বুধবার (২৮ এপ্রিল) হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন বসুন্ধরা গ্রপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর।