বাগেরহাটের চিতলমারীতে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণ এবং কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্টের পাশে জেলা পরিষদের ফুলের বাগানে পথশিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ বিবৃতি দিয়েছে।
বিবৃতিতে মহিলা পরিষদ জানায়, বাগেরহাটের চিতলমারীতে ইউপি সদস্য ননী গোপাল বিশ্বাস কর্তৃক ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে
জানা গেছে, উপজেলার চরবানিয়ারী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ননী গোপাল বিশ্বাস ২ মে ত্রাণ দেয়ার কথা বলে ওই ওয়ার্ডের এক ভোটারের বাড়িতে গেলে কোনো লোকজন না থাকায় ওই ছাত্রীকে পানি আনতে বলেন। মেয়েটি পানি নিয়ে কাছে আসলে ইউপি সদস্য ননী গোপাল তাকে ঘরে আটকে হাত-মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর ওই স্কুলছাত্রী লোক লজ্জার ভয়ে আত্মহত্যা করতে গেলে তার মা দেখতে পেয়ে রক্ষা করে।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৩০ এপ্রিল কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্টের পাশে বাগানের ভেতর তিন তরুণ কর্তৃক পথশিশুকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। পরে সৈকতের সি-গাল, সুগন্ধা পয়েন্ট ও লাইট হাউস এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত পেকুয়া উপজেলার মো. আরিফ, উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবিরের মো. রাশেদ ও মোহাম্মদ জুয়েলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অভিযুক্ত তিনজনকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। ঘটনার শিকার শিশুটিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ শিশুদের ধর্ষণের এ বর্বর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থাগ্রহণসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।