শেষ মুহূর্তে ঈদের কেনাকাটায় জমে উঠেছে দিনাজপুরের মার্কেটগুলো। এক্ষেত্রে ধনীদের বড় বড় শপিং মল পছন্দ হলেও গরিব ও মধ্যবিত্তদের ভরসা ফুটপাত।
এদিকে ঈদ মার্কেট জমজমাট হলেও করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই নেই ক্রেতা-বিক্রেতার।
দিনাজপুর শহরের জেল রোড, মালদহপট্টি, বাসুনিয়াপট্টি, বাহাদুর বাজার, লিলিমোড়, কাচারী মার্কেটগুলোতে দেখা যায় ক্রেতাদের ভিড়। তবে বড় বড় শপিংমল ও মার্কেটগুলোর তুলনায় ফুটপাত ও ছোট দোকানগুলোতে ভিড় বেশি।
দিনাজপুর শহরের বাসুনিয়াপট্টিতে কাপড় কিনতে আসা কুরবান আলী জানান, বাসুনিয়াপট্টিতে ফুটপাতে কিছু মৌসুমি দোকানদার কাপড়ের দোকান দিয়েছেন। অন্যান্য বড় মার্কেটের তুলনায় এখানে দাম কম। আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ। তাই এখানে কাপড় নিতে এসেছি।
মৌসুমি কাপড় বিক্রেতা সিরাজুল ইসলাম জানান, আমরা বিভিন্ন স্থান থেকে কম দামে কাপড় এনে সীমিত লাভে বিক্রি করি। তাই আমাদের এখানে ক্রেতারা আসে।
দিনাজপুর শহরের বাহাদুর বাজার এলাকার কাপড় ব্যবসায়ী সোবহান আলী জানান, করোনার কারণে অন্যবারের তুলনায় এ বছর ক্রেতার সংখ্যা কম। বড় বড় দোকানে কাপড়ের দাম একটু বেশি থাকায় ক্রেতারা ফুটপাতে বেশি যায়। আমাদের দোকানের ভাড়া আছে, তার সঙ্গে দোকানের পজিশন, বিদ্যুৎ বিল ও কর্মচারীদের বেতন। এত টাকা খরচ করে কাপড় এনে একটু লাভ না করে কিভাবে বিক্রি করব।
দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকি জানান, জনগণকে সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য প্রশাসনের একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। তারপরও জনগণকে নিজেদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
উল্লেখ্য, করোনা প্রতিরোধে গত ৫ এপ্রিল থেকে সারাদেশে দোকানপাট ও শপিং মল বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। টানা সাতদিন বন্ধ থাকার পর ১৩ এপ্রিল থেকে দেশের দোকানপাট ও শপিং মল স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলার অনুমতি প্রদান করা হয়।