স্প্যানিশ লা লিগার শিরোপা দৌড়ে বড়সড় লাফ দেয়া সুবর্ণ সুযোগ ছিল রিয়াল মাদ্রিদের সামনে। সেভিয়ার বিপক্ষে জয় পেলেই পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে যেত স্পেনের রাজধানী ক্লাবটি। কিন্তু চরম নাটকীয়তার ম্যাচে ২-২ গোলে ড্র করেছে জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা।
ম্যাচটি অবশ্য হারের পথেই ছিল রিয়াল। নির্ধারিত নব্বই মিনিটের পর অতিরিক্ত যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে আত্মঘাতী গোলের সুবাদে কোনোমতে ১টি পয়েন্ট পেয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে তারা। অন্যথায় ঘরের মাঠে হেরেই যেতে হতো তাদের।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দুইটি পয়েন্ট খোয়ানোর পর রেফারির ওপর নিজের রাগ ঢেলে দিয়েছেন রিয়াল কোচ জিদান। পেনাল্টি থেকে পাওয়া সেভিয়ার দ্বিতীয় গোলটি নিয়েই যত ক্ষোভ জিদানের। তার মতে, সেভিয়া যদি সেটি পেনাল্টি পায়, তাহলে রিয়ালেরও অন্য একটি পেনাল্টি পাওয়া উচিত ছিল।
ম্যাচের ৭৫ মিনিটের সময় দুর্দান্ত কাউন্টার অ্যাটাকে সেভিয়ার রক্ষণে হানা দিয়েছিল রিয়াল। ডি-বক্সে ঢুকে পড়া বেনজেমাকে ফাউল করেন বোনো। ফলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। কিন্তু ভিএআরে (ভিডিও এসিস্ট্যান্ট রেফারি) পাল্টে যায় সিদ্ধান্ত।
দেখা যায়, আক্রমণের শুরুতে রিয়ালের ডি-বক্সে এডের মিলিটাওয়ের হাতে বল লেগেছিল। ফলে উল্টো পেনাল্টি পায় সেভিয়া। সেই স্পট কিক থেকে দলকে এগিয়ে দেন রাকিটিচ। আর এ সিদ্ধান্ত নিয়েই ক্ষেপেছেন জিদান। কেননা ম্যাচে প্রায় একই রকম হ্যান্ডবল করেছিল সেভিয়াও। কিন্তু সেটি পেনাল্টি দেননি রেফারি।
তাই ম্যাচ শেষে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করে জিদান বলেছেন, ‘হ্যাঁ! আমি রেগে আছি। আমি ভীষণ রেগে আছি। তাদের অবশ্যই হ্যান্ডবলের নিয়মটা পরিষ্কার করা উচিত। যদি মিলিটাওয়ের হ্যান্ডবল হয়, তাহলে সেভিয়ারও হ্যান্ডবল হয়নি? আমি এসব নিয়ে কথা বলি না। কিন্তু আজকে আমি রেগে আছি।’
এসময় ভিডিও এসিস্ট্যান্ট রেফারির ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘ভিএআরকে বিশ্বাস করব? আমি ফুটবলে বিশ্বাস করি। ম্যাচে আজকে দুইটি হ্যান্ডবল ছিল। কিন্তু শুধু আমদেরটায় বাঁশি বাজানো হয়েছে। তাই রেফারির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছি। তার ব্যাখ্যা আমার পছন্দ হয়নি।’
সেভিয়ার সঙ্গে নাটকীয় ড্রয়ের পর এখন ৩৫ ম্যাচে ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে এখন রিয়ালের অবস্থান দ্বিতীয়। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে বার্সেলোনা ও ৭৭ পয়েন্ট পাওয়া অ্যাটলেটিকো রয়েছে শীর্ষে।
এছাড়া পিছিয়ে নেই সেভিয়াও। তারা ৭১ পয়েন্ট নিয়ে অবস্থান করছে চার নম্বরে। এখন রিয়াল মাদ্রিদের শিরোপা সমীকরণ খানিক কঠিন। তাদের জিততে হবে নিজেদের বাকি তিন ম্যাচ এবং অপেক্ষায় থাকতে হবে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের অন্তত একটি ড্র বা পরাজয়ের।