লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে ফেরার সময় ২৩ বাংলাদেশিকে আটক করেছে বিজিবি।
সোমবার (১৭ মে) রাতে তিনবিঘা করিডোর দিয়ে সীমান্ত পার হওয়ার সময় চেকপোস্টে তাদের আটক করা হয়। এরপর তাদেরকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের জিম্মায় দেয়া হয়েছে।
এই বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশের ফলে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়াতে পারে বলে দহগ্রাম এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
মঙ্গলবার (১৮ মে) সকালে স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশে তাদের দহগ্রাম-আঙ্গারপোতা ২০ শয্যা হাসপাতালে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা পাঠানো হয়।
আটক ব্যক্তিদের বাড়ি ঢাকার সাভারে বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ, নয় জন নারী ও নয় জন শিশু রয়েছে।
পুলিশ জানায়, আটক ব্যক্তিরা বেদে সম্প্রদায়ের লোক। তারা অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিলেন। ভারত থেকে ফেরার পথে দহগ্রাম এলাকার স্থানীয় দালাল আশরাফুল ইসলাম (৩৫) তাদের তিনবিঘা দিয়ে পার করার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেন। পরে তাকে বিজিবি আটক করে থানা পুলিশের কাছে দেয়।
দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল হোসেন প্রধান বলেন, পাটগ্রাম থানা পুলিশ শিশুসহ ২৩ জনকে আমার জিম্মায় দেয়। এরপর থানা পুলিশের সহযোগিতায় দহগ্রাম-আঙ্গারপোতা ২০ শয্যা হাসপাতালে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে দহগ্রাম বিজিবি কমান্ডার নাসির হোসেন ও পানবাড়ি কোম্পানি কমান্ডার নজরুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের করার চেষ্টা করলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত বলেন, আশরাফুল ইসলাম নামে এক দালালকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তার কাছ থেকে ভারতীয় ৩৫ হাজার রুপি জব্দ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অবৈধ পথে ভারত থেকে ফেরত এসব লোকের করোনা টেস্ট করা হবে। ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত তারা নজদারিতে থাকবেন।