বরিশালে সাংবাদিক নেতা এসএম জাকির হোসেনসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ নানান অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর্থিকভাবে অসচ্ছল আল আমিন গাজী নামের এক যুবক প্রধানমন্ত্রী তহবিলের ঘর পেলে তা নিয়ে নেতিবাচক সংবাদ তৈরির ভয়ভীতি দেখিয়ে তার মায়ের কাছ থেকে এক দফা অর্থ আদায়ের পরেও ফের টাকা দাবির অভিযোগ রয়েছে এই মামলায়।
রোববার (৪ এপ্রিল) বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন শহরের বান্দরোডস্থ আব্দুর রাজ্জাক স্মৃতি কলোনীর বাসিন্দা আল-আমিন গাজী । এই মামলার বাকি চার অভিযুক্ত হচ্ছে, ঢাকাপোস্ট.কম অনলাইন নামক নিউজপোর্টালের (প্রতিনিধি) সাংবাদিক সৈয়দ মেহেদী হাসান, বিডি ক্রাইমের রিপন হাওলাদার, বরিশাল ক্রাইম বার্তার মুরাদ হোসেন এবং দখিনের কণ্ঠ নামক পত্রিকার খান মাইনউদিন। এছাড়াও আরও ৬জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের একটি ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন। অভিযুক্তরা বিষয়টি জানতে পেরে তার মা সুরমা বেগমের কাছে ৪০ হাজার টাকা দাবি করে এবং এই টাকা না দিলে বরাদ্দের ঘর বাতিলের লক্ষে নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশের ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। এতে সুরমা বেগম ভয় পেয়ে ১২ হাজার টাকা দিলেও অভিযুক্তরা পরবর্তীতে আরও টাকা দাবি করে।
পরে দ্বিতীয়বারের চাঁদা চেয়ে না পেয়ে অভিযুক্তরা একত্রিত হয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে। ২ এপ্রিল সন্ধ্যার দিকে এই সংবাদ বাদী অনলাইনে থাকা অবস্থায় ফেসবুকে দেখতে পান। রিপন হাওলাদারের বিডি ক্রাইম২৪.কম নামক অনলাইনে ‘বরিশালে প্রতারণা করে আশ্রয়হীনের ঘর বাগিয়ে নিলেন বাড়ি-গাড়ির মালিক’ শিরোনামে আল আমিনের ছবি সংবলিত খবর প্রচার করে। একই ভাবে অপপ্রচার চালায় মুরাদ হোসেনের ‘বরিশাল ক্রাইম বার্তা’ এবং এসএম জাকির হোসেনের আঞ্চলিক দৈনিক মতবাদ পত্রিকা। বাদী মামলার আর্জিতে বলেন, তার বিরুদ্ধে যে সকল তথ্যসমূহ প্রকাশ-প্রচার করা হয়েছে, তা আদৌ সত্য নয়। তাকে সংবাদে বিত্তশালীসহ বাবার এক ছেলে বলা হয়েছে, কিন্তু তার কোনো নগদ অর্থ নেই এবং তারা তিন ভাই ও এক বোন।
মামলার বাদী আল আমিন গাজী জানান, এই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদে তার মানসম্মান মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। এবং সমাজে অপমান-অপদস্থ হয়েছেন। এতে সামগ্রিকভাবে তার ২০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। বাদীর আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩৮৫/৩৮৭/৫০০ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।’