ইহুদিবাদী ইসরায়েলের ৬টি বিমানঘাঁটিতে রকেট হামলা চালিয়েছে হামাস। সংগঠনটির সামরিক শাখা ইজ্জাদ্দিন কাসসাম ব্রিগেডের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। টাইমস অব ইসরায়েলের খবর।
সংবাদ মাধ্যমটির বরাতে হামাসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, হাতসুর, হাতসারিম, নিফাতিম, তেল নুফ, বিলমাখিম ও র্যামন ঘাঁটিতে এসব হামলা চালানো হয়েছে। তবে হামলার কথা অস্বীকার করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। তারা বলছে, বিমানবন্দরের বাইরে খোলা জায়গায় একটি রকেট বিস্ফোরণ হয়েছে।
এর আগে, ফিলিস্তিনের গাজায় হামাস কমান্ডারদের বাড়ি লক্ষ্য করে হামলা ইসরায়েল। বলা হয়, হামাসের সামরিক প্রধান মোহাম্মদ দাইফকে হত্যা করতে বেশ কয়েকটি প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
এদিকে, অবরুদ্ধ গাজায় সহিংসতা বন্ধে আন্তর্জাতিক বিশ্বের আহ্বান কানেই তুলছেন না ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বরং শনিবার (১৫ মে) এক টেলিভিশন ভাষণে ঘোষণা করেছেন, ‘যতদিন প্রয়োজন গাজায় হামলা অব্যাহত রাখা হবে। তবে এতে হতাহত কতটা কম রাখা যায়, তার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।’
নেতানিয়াহুর এ আগ্রাসী ঘোষণার পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংসতার মাত্রা আরও কয়েকগুণ বেড়ে যায়। সবশেষ মঙ্গলবার (১৮ মে) রাতে মাত্র ২৫ মিনিটে গাজা শহরে ১২২টি বোমা নিক্ষেপ করেছে ইসরায়েল।
টানা ১০ দিন ইসরায়েলের বর্বরোচিত চলমান এ হামলায় বাস্তুহারা হয়েছে কমপক্ষে ৭২ হাজার ফিলিস্তিনি। চরম মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে তারা। খাদ্য, পানি, জ্বালানির তীব্র সংকটে অনেকে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। অথচ সীমান্ত আটকে রেখে তাদের কাছে আন্তর্জাতিক ত্রাণ সহায়তাও পৌঁছাতে দিচ্ছে না ইসরায়েলি সেনারা। এ অবস্থাকে যুদ্ধাপরাধের শামিল বলে বর্ণনা করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।