ফুটবলের মাঠ থেকে সিনেমার রূপালি দুনিয়ায় পা দেন তিনি। কাজী হায়াত পরিচালিত যন্ত্রণা সিনেমায় অভিনয় করেন খল চরিত্রে। এরপর শুরু হয় তার আধিপত্য। চার দশকের ক্যারিয়ারে অভিনয় করেছেন প্রায় সাতশ’ চলচ্চিত্রে। তিনি নজরুল ইসলাম শামীম, তবে বাংলা চলচ্চিত্র প্রেমীদের কাছে কাবিলা নামেই পরিচিত।
শুরুটা ভিলেন চরিত্র দিয়ে হলেও ধীরে ধীরে কৌতুক চরিত্রে অভিনয় শুরু করেন তিনি। তার কণ্ঠে বরিশালের আঞ্চলিক ভাষা পায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা। পর্দায় তার চালচলন, পোশাক, অভিনয় দেখে দর্শক হাসিতে লুটিয়ে পড়তেন। নির্মাতাদের কাছে তিনি হয়ে উঠেন অনিবার্য এক অভিনেতা। হঠাৎ করেই তার কণ্ঠের পতন।
কাবিলা বলেন, ভিলেন দিয়ে প্রথম যাত্রা। রাজীব ভাই ছিলেন প্রধান ভিলেন। তার সঙ্গে আরও তিনজন ভিলেন ছিলেন। তার মধ্যে আমি একজন। সে এক চমৎকার অনুভূতি। প্রথম ছবি করার পর যখন আমি পরিচিতি পাই, তখন থেকে আর কোনো বাধা আসেনি। কাজী হায়াতের যত বন্ধু-বান্ধব ছিল, যারা পরিচালক ছিলেন তারা একের পর এক তাদের ছবিতে নেওয়া শুরু করলেন। তারা বলেন- ছেলেটা তো ভালোই করছে। সেই থেকে যাত্রা। কণ্ঠের যাদুতে দর্শক মাত করে রাখা এই অভিনেতার হঠাৎই কেন কণ্ঠ চলে গেল?
কাবিলা শুধু কণ্ঠের সমস্যায় পড়েননি। তিনি আক্রান্ত হয়েছিলেন ক্যান্সার রোগেও। মুক্ত হয়েছেন ক্যান্সার রোগ থেকে। ফিরবেন আবারও কণ্ঠের জাদুতেও।
অভিনেতা বলেন, আগে কথা বলতে পারতাম না। মোটেও পারতাম না। এখন আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাচ্ছে। ইনশাল্লাহ আপনাদের সকলের দোয়ায় আবারও কণ্ঠ ঠিক হয়ে যাবে।
সিনেমায় এসেও ফুটবল ভুলে যাননি কাবিলা। এখনও নিয়মিত অনুশীলন করেন। ফুটবলকে ভালোবেসে আরামবাগ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
কাবিলা বলেন, আমার প্রথম ক্লাব ঢাকার ব্র্যাদার্স ইউনিয়ন। ১৯৭৫ সালে আমি এই টিমে আসি। ১৯৭৭ সালে এই টিমে নিয়মিত খেলা শুরু করি। এরপর ৮৩ সাল পর্যন্ত ফুটবল খেলেছি। ১৯৮৩ সালে সরকার পতন হলে শেষ খেলা খেলি।
সময় বদলেছে, পৃথিবী দাঁড়িয়েছে নতুন আঙ্গিনায়। তবুও কাবিলা স্বপ্ন দেখেন সিনেমার সোনালী অতীত আবারও ফিরবে। হলে হলে ভিড় জমবে দর্শকের। সিনেমাপ্রেমীরা খুঁজে পাবে বড় পর্দার সেই চিরচেনা মুহূর্তগুলো।