রাজধানীর পল্লবীতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রকাশ্যে সাহিনুদ্দিন (৩৩) নামে একজনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়ালের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২১ মে) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার হোসেন এ রিমান্ড আবেদন করেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসীল আদালতে বিকেল ৩টায় রিমান্ড শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
সাহিনুদ্দিন হত্যা মামলার ১ নম্বর আসামি সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়ালকে গত বুধবার রাতে কিশোরগঞ্জের ভৈরব এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)।
র্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানিয়েছেন, লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সাংসদ ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এবং তরিকত ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব এম এ আউয়াল পল্লবীতে সন্তানের সামনে বাবাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যাকাণ্ডের ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ ও হত্যা মামলার ১ নম্বর আসামি।
এদিকে শুক্রবার (২১ মে) ভোরে মিরপুর রূপনগরের ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন সাহিনুদ্দিন হত্যা মামলার আরেক আসামি মানিক।
পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী জানিয়েছেন, ‘শুক্রবার ভোরের দিকে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মানিক নিহত হন। মানিকের নামে থানায় একাধিক মামলা আছে। তিন মাস আগেও ডাকাতির প্রস্তুতির মামলায় তিনি গ্রেফতার হয়েছিলেন।’
গত রবিবার (১৬ মে) বিকেলে পল্লবীর ১২ নম্বর ডি ব্লক ৩১ নম্বর রোডের ৩৬ নম্বর বাড়ির সামনে প্রকাশ্যে শাহিন উদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত শাহিন উদ্দিন পল্লবীর ১২ নম্বর সিরামিক রোডের বাসিন্দা।
হত্যাকাণ্ডের সময় শাহিনের সঙ্গেই ছিলেন তার ৭ বছর বয়সী ছেলে মাশরাফি। এ ঘটনার পর পল্লবী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।