ফুটবল দুনিয়াকে চোখের জলে ভাসিয়ে গেল বছরের ২৫ নভেম্বর ‘হ্যান্ড অব গড’ খ্যাত দিয়েগো ম্যারাডোনা পাড়ি জমান না ফেরার দেশে। কিন্তু এবার তার মৃত্যু নিয়ে নতুন রহস্য সামনে আসছে। এই ফুটবল জাদুকরকে ‘পরিকল্পনা করে হত্যা’র অভিযোগ আনা হয়েছে।
এরইমধ্যে ৭ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগের তীরও তাদের দিকেই। আদালত সূত্রে এমনটিই জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
অভিযুক্তদের মধ্য রয়েছন, স্নায়ুচিকিৎসক লিয়োপল্ডো লুক, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অগাস্টিনো কোসাশভ এবং মনোবিজ্ঞানী কার্লোস ডিয়াজ।
অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হলে আসামিদের ন্যূনতম ৮ বছর থেকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান বলে জানা গিয়েছিল। কিন্তু তদন্তে চিকিৎসকদের গাফিলতির বিষয়টি উঠে আসছে। অভিযুক্তদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
ম্যারাডোনার দুই মেয়ে লিয়োপল্ডো লুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পর ম্যারাডোনার শরীর আরও খারাপ হয়ে যাওয়ার জন্যও এই স্নায়ুচিকিৎসককে দায়ি করা হচ্ছে।
আগামী ৩১ মে ওই ৭ চিকিৎসকের শুনানি হবে। শুনানিতে অভিযুক্তরা নিজেদের যুক্তি উপস্থাপন করবেন।
চলতি মাসের শুরুর দিকে বিশেষজ্ঞ মেডিকেল বোর্ড জানিয়েছিল, ম্যারাডোনার সেবায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মীদের কর্মকাল ছিল অপর্যাপ্ত, তার ছিল অদক্ষ ও বেপরোয়া। ম্যারাডোনার মৃত্যুর পরই বোঝা যাচ্ছিল, তার চিকিৎসকরা কোনও একটা ঝামেলায় পড়তে যাচ্ছেন।
এরপরই আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির মৃত্যু নিয়ে তদন্তের পর্যায়ে নতুন মোড় নেয়।