আজ ২১ মে, বিশ্ব মেডিটেশন দিবস। মেডিটেশনকে বলা হয় মনের সার্বজনীন ব্যায়াম। যেকোনও বয়সের মানুষই এটা চর্চা করতে পারেন। নিয়মিত মেডিটেশনে মানুষের ভেতরের ইতিবাচক সত্ত্বা ও শুভ শক্তিগুলোকে জাগিয়ে তোলে।
মেডিটেশন কতটা উপকারী? এর ক্ষতিকর কোনও দিক আছে কি? নিয়মিত মেডিটেশন করা উচিৎ কি? আমরা যারা স্বাস্থ্য সচেতন তাদের মনে এমন প্রশ্ন উঁকি দিতেই পারে। তবে একটা বিষয় শুরুতেই পরিষ্কার করা যায়- মনে শান্তি আনার উদ্দেশ্যে, ধৈর্য্য, আত্মবিশ্বাস বাড়াতে মেডিটেশনের বিকল্প নেই।
বিজ্ঞানীদের গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, প্রতিদিন মেডিটেশন সব ধরনের মানুষের জন্য, বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের জন্য দারুণ কিছু সুফল বয়ে আনে। শুধু তাই নয়, নানা ধরনের মানসিক চাপ মোকাবিলা করতে এবং শিক্ষা জীবনটাকে আরও আনন্দপূর্ণ করতে নিয়মিত মেডিটেশন চর্চা গুরুত্বপূর্ণ।
চার্লস ড্রিউ ইউনিভার্সিটি এবং ইউনিভার্সিটি অব হাওয়াই মেডিটেশন নিয়ে বিস্তর গবেষণা চালিয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, যেসব শিক্ষার্থীরা মেডিটেশন করেছে তাদের মধ্যে বিষণ্নতার উপসর্গগুলো অনেক কমে গেছে। কন্ট্রোল গ্রুপের তুলনায় ৪৮% কম।
মনীষীদের মতে, মানবজীবনের একক হচ্ছে প্রশান্তি। প্রশান্তি ছাড়া অর্থ-বিত্ত, খ্যাতি, সাফল্য সবকিছুই অর্থহীন। সেই প্রশান্তির খোঁজ মিলছে মেডিটেশনে। ইতিবাচক চিন্তার মাধ্যমে মানুষ তার সমস্যা ও দুর্দশাগ্রস্ত প্রাত্যহিক জীবন বদলে ফেলেছেন। অনেক দুরারোগ্য ব্যাধি থেকেও পেয়েছেন মুক্তি।