সিলেটের গোলাপগঞ্জে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। শনিবার (২২ মে) উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের গণ্ডামারা গ্রামের চরোরাগোল্লা নামক স্থানে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
আটকৃতরা হলো- উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের তুরুকভাগ গ্রামের লিলু মিয়ার ছেলে আব্দুল হাকিম (২০), দক্ষিণ কান্দিগাঁও গ্রামের মঈন উদ্দিনের ছেলে রাজন আহমদ (২২), খালপাড় গ্রামের সাহাব উদ্দিনের ছেলে শিপন আহমদ (১৯) ও শাহপরান উপজেলার পীরের চক গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে আক্তার হোসেন (২৩)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে ওই তরুণীর সাথে আব্দুল হাকিমের পরিচয় হয়। এরপর তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ঘটনার দিন দুপুরে প্রেমিক আব্দুক হাকিম তরুণীর সাথে যোগাযোগ করে দেখা করার জন্য মুরাদপুর বাজারে আসতে বলে। কথামতো তরুণী মুরাদপুর বাজারে আসলে একটি সিএনজি অটোরিকশা যোগে তরুণীকে নিয়ে গণ্ডামারা গ্রামের চরোরাগোল্লা নামক টিলার পাশের জঙ্গলে নিয়ে যায় প্রেমিক হাকিম।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আব্দুল হাকিম ও তার ৩ বন্ধু মিলে ওই তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় তরুণীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে অভিযুক্তদের কাছ থেকে তরুণীকে উদ্ধার করেন এবং প্রেমিক ও তার সহযোগীদের আটক করে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে তাদের ধরে নিয়ে যায়।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ফয়জুল করিম বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। আর ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।