১১ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. শাহেদকে জামিন দেননি হাইকোর্ট।
সোমবার (২৪ মে) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন।
এদিন আদালতে শাহেদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ফজলুর রহমান আর দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।
মামলা সূত্রে জানা যায়, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক পারভেজের বিরুদ্ধে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় অর্থপাচারের অভিযোগে গত বছরের ২৫ আগস্ট মামলা করেন সিআইডির পরিদর্শক ইব্রাহীম হোসেন। মামলায় শাহেদ ও পারভেজের বিরুদ্ধে ১১ কোটি ২ লাখ ২৭ হাজার ৮৯৭ টাকা অর্থ পাচারে অভিযোগ আনা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানায়, সাহেদ ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ৪৩টি ব্যাংক হিসাবে জমা ছিল ৯১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এর মধ্যে তিনি তুলে নেন ৯০ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। ঋণের ৮০ লাখ টাকাসহ তার ব্যাংক হিসাবগুলোতে জমা আছে প্রায় ২ কোটি ৪ লাখ টাকা।
সিআইডির অনুসন্ধানে দেখা যায়, বিপুল পরিমাণ এই অর্থের উৎস প্রতারণা ও জালিয়াতি। প্রতারণা ও জালিয়াতি মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর আওতাভুক্ত অপরাধ।
সিআইডি প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে অর্জিত টাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে লেনদেনের মাধ্যমে রূপান্তর এবং ভোগবিলাসে ব্যয় করার অপরাধে সিআইডির সংঘবদ্ধ অপরাধ দমন বিভাগ শাহেদের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলাটি করে।
এ পর্যন্ত শাহেদ ও সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে ৩০টি মামলা হয়েছে।
শাহেদ, তার সহযোগী মাসুদ পারভেজ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেড, রিজেন্ট কেসিএস লিমিটেড, রিজেন্ট ডিসকভারি ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস লিমিটেড ও অজ্ঞাতনামা ৬-৭ জনের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ১৫ জুলাই পর্যন্ত ১১ কোটি ২ লাখ ২৭ হাজার ৮৯৭ টাকা হারিয়ে নেয়ার তথ্য পায় সিআইডি।