ঠোঁট কালো হয়ে যাচ্ছে ক্রমাগত? জীবনযাপনে অনিয়ম, ধুমপান কিংবা প্রসাধনী ব্যবহারের ফলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই। ঘরে বসেই এই কাজগুলো করলেই ঠোঁটের কালচে ভাব নিমেষেই দূর করতে পারবেন।
ঠোঁটের আদ্রতা রক্ষা: বেশিরভাগ সময় আমরা ঠোঁট ঠিক মত ময়েশ্চারাইজ করি না। এতে করে ঠোঁট রুক্ষ হয়ে কালচে ভাল দেখা দেয়। তাই ভাল ব্রান্ডের একটি লিপবাম কিনে রাখতে পারেন হাতের কাছে। মাঝেমধ্যেই ঠোঁটে লাগিয়ে ময়েশ্চারাইজ করে নিন। প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে মধুও লাগাতে পারেন মাঝেমধ্যে।
তেল: ঘরে থাকা নারকেল তেল কিংবা কাঠ বাদামের তেল দিয়ে সপ্তাহে অন্তত তিন দিন ঠোঁট ভালমত মাসাজ করুন। এতে ঠোঁটে গোলাপি আভা সৃষ্টি হবে। এছাড়া অ্যালোভেরা মাসাজও বেশ ভাল কাজে দেয়।
এক্সফোলিয়েশন: ঠোঁট রুক্ষ হয়ে মৃত কোষ জমে থাকে অনেক সময়। এগুলো তুলে ফেলতে ঠোঁট এক্সফোলিয়েট করা অত্যন্ত জরুরী। সেক্ষত্রে ভাল ব্র্যান্ডের কোন এক্সফোলিয়েশন স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন। তা না চাইলে ঘরের কিছু জিনিস দিয়েই কাজ চালিয়ে নিতে পারবেন। লেবুর রস আর চিনি মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে নিন। কিংবা কফির সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়েও বানিয়ে নিয়ে পারেন দারুন এক্সফোলিয়েশন।
সানস্ক্রিন লোশন: রোদে বের হবার সময় আমরা সকলেই মুখে সানস্ক্রিন ব্যবহার করি। কিন্তু ঠোঁটে আমরা কেউ সানস্ক্রিন লাগাই না। তাতেই হয়ে যায় বড় ক্ষতি। তাই বাইরে বের হবার সময় মুখে সানস্ক্রিন লাগালে সেই সাথে ঠোঁটেও খানিকটা সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিন।
লিপ মাস্ক: গ্লিসারিন, লেবু, মধুর সঙ্গে স্ট্রবেরি কিংবা শশা থেঁতো করে মাস্ক বানিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। সপ্তাহে কমপক্ষে দুই দিন লাগান। ফলাফল নিজেই দেখতে পাবেন।
জীবনযাপন: বেশি করে পানি খাওয়া, শাক-সবজি খাওয়া ও ধুমপান পরিহার করলে আপনার ঠোঁটের স্বাস্থ্য নিমেষেই বদলে যাবে।
প্রসাধনী: ঠোঁটের প্রসাধনী বলতে আমরা সাধারণত লিপস্টিককে বুঝি। এখন বাজারে দীর্ঘস্থায়ী ম্যাট লিপস্টিক পাওয়া যায়। কিন্তু মনে রাখবেন লিপস্টিক যত বেশি ম্যাট বা দীর্ঘস্থায়ী, আমাদের ঠোঁটের জন্য তত বেশি ক্ষতিকর। তাই ঠোঁটে লিপস্টিক লাগানোর আগে ভাল মত ময়েশ্চারাইজ করে নিন। আর একটু ভাল ব্র্যান্ডের লিপস্টিক ব্যবহারের চেষ্টা করবেন। এছাড়াও বাড়ি ফিরে যত দ্রুত সম্ভব আগে ঠোঁটের মেকাপ তুলে ফেলার চেষ্টা করবেন।