মহামারি করোনা ভাইরাসের মধ্যেই দেশে ভারতীয় বিরল ছত্রাকজনিত রোগ মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত দুই রোগী শনাক্ত হয়েছে। এরইমধ্যে দেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে একজনের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে। টানা তিন দিন রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর ওই রোগীর মৃত্যু হয়।
তবে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন ও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সতর্ক থাকলেই রোগটি প্রতিরোধ করা যাবে। এরইমধ্যে ছত্রাকটির প্রতিরোধক ওষুধ প্রস্তুতের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
মঙ্গলবার (২৫ মে) দেশে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে চীনের সিনোফার্ম উদ্ভাবিত টিকা বিবিআইবিপি-করভি মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের প্রয়োগের উদ্বোধনে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস প্রতিরোধে যে ধরনের ওষুধ লাগে, সে ওষুধ তৈরিতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন কোম্পানিকে বলা হয়েছে। আমরা বেশ কিছু ওষুধ কোম্পানিকে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধ তৈরির জন্য আলোচনা করেছি।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের টিকা পেতে চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করছি। আমাদের আনন্দ সংবাদ হচ্ছে, চীন থেকে আমরা ৫ লাখ ডোজ পেয়েছি, এটা মেডিকেল শিক্ষার্থীদের দেয়া হবে। যারা চিকিৎসাব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত তাদের সবাইকে টিকা দেয়া হবে। এটা আজ থেকে শুরু হলো।’
মন্ত্রী বলেন, ‘শুরু থেকে সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের কারণে দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে, মাঝে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলেও লকডাউনে তা নিয়ন্ত্রণ করা গেছে।’
একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘একটি দেশে বারবার লকডাউন দেয়া সম্ভব নয়। অর্থনীতি নষ্ট হয়ে যায়, সামাজিক-রাজনৈতিক সমস্যা সৃষ্টি হয়। এ কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’
এদিন বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্রী সমতাকে টিকা দেয়ার মাধ্যমে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এই হাসপাতালে আজ ২৫৭ শিক্ষার্থীকে চীনের তৈরি টিকা দেয়া হবে।
টিকা প্রদান উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যসচিব লোকমান হোসেন মিয়া, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।