ভারতের ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে’ বাংলাদেশে প্রথম মৃত্যু ভারতের ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে’ বাংলাদেশে প্রথম মৃত্যু – Sabuj Bangla Tv
  1. shahinit.mail@gmail.com : admin :
  2. khandakarshahin@gmail.com : সবুজ বাংলা টিভি : সবুজ বাংলা টিভি
  3. wpapitest@config.com : wpapitest :
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন
নোটিশ-
বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন টিভি চ্যানেল সবুজবাংলা টিভি এর জেলা/উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে...

ভারতের ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে’ বাংলাদেশে প্রথম মৃত্যু

সবুজ বাংলা টিভি
  • প্রকাশ কাল | মঙ্গলবার, ২৫ মে, ২০২১
  • ১৪৬ পাঠক

ভারতীয় বিরল ছত্রাকজনিত রোগ মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে বাংলাদেশে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। টানা তিন দিন রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর ওই রোগীর মৃত্যু হয়।

মঙ্গলবার (২৫ মে) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখা গেছে, ওই রোগী অন্যান্য রোগের পাশাপাশি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত ছিলেন।

ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত আরও একজন রোগী এখনও বারডেম হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এই রোগ শনাক্ত হওয়া অপর এক রোগী অন্য হাসপাতালে চলে গেছেন।

এদিন সকালে বারডেম হাসপাতালের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এম দেলোয়ার হোসেন জানান, ভর্তি থাকা রোগীর পরিস্থিতি উদ্বেগজনক নয়। তাকে ওষুধ দেয়া হচ্ছে। ওষুদের দাম অনেক বেশি। স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার কর্মকর্তাদের সঙ্গে ওষুধের ব্যাপারে যোগাযোগ করা হয়েছে।

অধ্যাপক এম দেলোয়ার হোসেনের তত্ত্বাবধানে বারডেম হাসপাতালের একটি কেবিনে ৫৫ বছর বয়সী এই রোগীর চিকিৎসা চলছে। রোগীর বাড়ি সাতক্ষীরা জেলায়। প্রায় এক মাস আগে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। সুস্থ হয়ে তিনি বাড়ি ফিরে যান। কিন্তু আবার জ্বর দেখা দিলে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন এবং সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ভর্তি হন।

তিনি জানান, রোগী গত ৪-৫ বছর ধরে ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। এরপর তিনি কোভিড-১৯ আক্রান্ত হন। জ্বর ও কাশি না কমায় চিকিৎসকেরা তাকে যক্ষ্মার ওষুধও দেন। পরে দেখা যায় তিনি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত।

অধ্যাপক এম দেলোয়ার হোসেন আরও জানান, তিন দিন আগে ৬৫ বছর বয়সী একজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এই রোগীর অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ছিল। তার কিডনির সমস্যা ছিল। তিনি কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছিলেন। চিকিৎসাকালীন বোঝা যায়নি যে, তিনি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত ছিলেন। মৃত্যুর পর সেটা জানা গেছে।

অণুজীব বিজ্ঞানীরা বলছেন, মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নতুন কোনও ছত্রাক নয়। এই ছত্রাক পরিবেশেই থাকে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এমন ব্যক্তিদের এই ছত্রাকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন জানান, যাদের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস তাদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। আবার স্টেরয়েড গ্রহণকারী কোনও ব্যক্তিও এতে আক্রান্ত হতে পারেন।

মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ছোঁয়াচে নয়। শরীরের যেকোনও স্থানে এর সংক্রমণ হতে পারে। নাকের আশপাশে, চোখে সংক্রমণ বেশি হয়। চোখে সংক্রমণ হলে তা দ্রুত মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়তে পারে। আক্রান্ত অংশে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ওই স্থান কালো হয়ে যায়। তাই একে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বলা হয়।

প্রতিবেশী দেশ ভারতে মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এ পর্যন্ত দেশটিতে এ ছত্রাকে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৮ হাজার ৮০০ জন। দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করেছে।

আমাদের সংবাদটি শেয়ার করুন..

এ পাতার আরও খবর

Sabuj Bangla Tv © All rights reserved- 2011| Developed By

Theme Customized BY WooHostBD