আসন্ন ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে বিদেশি সিগারেট কোম্পানিসহ দেশীয় কিছু এনজিও বিড়ি শিল্পকে ধ্বংস করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে ষড়যন্ত্রমূলক অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেছে। এই প্রস্তাব প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন। বুধবার (২৬ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এই দাবিসহ মোট চার দফা দাবি জানায় সংগঠনটি।
তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে— বিড়ির ওপর অর্পিত ১০ শতাংশ অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করা, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোসহ বিভিন্ন এনজিওর ষড়যন্ত্র বন্ধ করা এবং বিড়ি শিল্পকে কুটির শিল্পের মর্যাদায় দিয়ে সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আপনারা জানেন বিড়ি এ দেশের প্রাচীন শ্রমঘন শিল্প। এ শিল্পে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অসহায়, বিধবা, স্বামী পরিত্যাক্তা, শারীরিক বিকলঙ্গতা, নদী ভাঙ্গন ও চর এলাকার মানুষ কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। কিন্তু বিদেশি সিগারেট কোম্পানি ও এ দেশীয় কিছু এনজিও বিড়ি শিল্পকে ধ্বংস করতে নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। বিশেষ করে বাজেটের সময় বিড়িতে মাত্রারিক্ত শুল্কারোপের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে বিভিন্ন প্রস্তাব প্রদান করেছে। গরিবের রুটি-রুজির একমাত্র এই কর্মকে ধ্বংস করতে তারা উঠে পড়ে লেগেছে। আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে বিড়ি শিল্পকে ধ্বংস করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে ভুল বুঝিয়ে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা এই প্রস্তাবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ কৃষি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এম কে বাঙালি, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল গফুর, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত লাভলুসহ বিড়ি শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।