তামার দাম চলতি মাসের শুরুতে ১০ বছরের সর্বোচ্চে ওঠে। তবে রেকর্ড পরিমাণ মূল্যবৃদ্ধির পর গত সপ্তাহে ধাতুটির বাজারদর হ্রাস পায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবারো বেড়েছে তামার দাম। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
মূলত ডলারের দরপতনের কারণে ধাতুটির দাম বেড়েছে। এছাড়া বিশ্বের শীর্ষ ধাতব পণ্যের ভোক্তা দেশ চীনের অর্থনীতি করোনার প্রভাব কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করায় তামার বাজারে চাঙ্গা ভাব অব্যাহত আছে।
লন্ডন মেটাল এক্সচেঞ্জে (এলএমই) তামার আগামী তিন মাসের সরবরাহ চুক্তিমূল্য ১ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে টনপ্রতি ১০ হাজার ৬৭ ডলারে উন্নীত হয়েছে।
এদিকে সাংহাই ফিউচারস এক্সচেঞ্জে তামার দাম ১ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে টনপ্রতি ১১ হাজার ৩৬৮ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
এলএমইতে গত দুই মৌসুমে তামার দাম টনপ্রতি ১০ হাজার ডলারের কম ছিল। মহামারিকালে শিল্প ধাতু খাতে মন্দা ভাবের কারণে পণ্যটির বাজারদরে এমন নিম্নমুখী অবস্থা দেখা দেয়।
তবে চলতি মাসের শুরুর দিকে তামার দাম বেড়ে ১০ বছরের রেকর্ড সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছলে ধাতুটির বাজার চাঙ্গা হতে থাকে।
এর আগে গত সপ্তাহে তামা ও নিকেল, জিংক ও অ্যালুমিনিয়ামসহ অন্যান্য ধাতুর দাম কমে গিয়েছিল। বৈশ্বিক অর্থনীতি চাঙ্গা হতে থাকায় এসব ধাতুর চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে।
এছাড়া ধাতু খাতে বিনিয়োগের পরিমাণও বাড়ছে। এসব কারণেই তামাসহ অন্যান্য ধাতুর বাজারে ঊর্ধ্বগতি লক্ষ করা যাচ্ছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকেই তামার বাজারে উল্লম্ফন দেখা দেয়। পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলো করোনা মহামারির ধকল কাটিয়ে উঠতে শুরু করায় চাঙ্গা হয়ে ওঠে বৈশ্বিক তামার বাজার। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে তামার বাজারদর বড় পরিসরে বাড়ে।
এছাড়া সবুজ বিপ্লবের অংশ হিসেবে বৈদ্যুতিক গাড়ি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি চাহিদা বাড়ায় এ ধাতুর চাহিদা এখন আকাশচুম্বী। চাহিদা বাড়ায় ধাতুটির দাম বেড়ে ১০ বছরের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে।
মাসের শুরুতে তামার বৈশ্বিক বাজার আদর্শ লন্ডন মেটাল এক্সচেঞ্জে ধাতুটির দাম গত ১০ বছরের সব রেকর্ড ভেঙে দেয়। ২০১১ সালে ব্যবহারিক এ ধাতুর দাম ছিল ১০ হাজার ১৯০ ডলার। এ বছরের মে মাসে দাম ২ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে ১০ হাজার ৩৮৫ ডলারে উন্নীত হয়।
জুনের ভবিষ্যৎ সরবরাহ চুক্তিতে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া তামার দাম সাংহাই ফিউচারস এক্সচেঞ্জে ২ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছিল। মাসের শুরুতে টনপ্রতি তামার দাম ১১ হাজার ৬০৩ ডলারে পৌঁছে। এটি ২০০৬ সালের মে মাসের পর সর্বোচ্চ।