ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে দ্বিতীয় দফায় মেয়র হওয়ার আগে আতিকুল ইসলাম ৩৮ দফা সম্বলিত ইশতেহার ঘোষণা করলেও কিছু দোকান-ঘর ভাঙ্গা ছাড়া গত এক বছরে উল্লেখযোগ্য কোনো নাগরিক সেবা বৃদ্ধি পায়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (আইএবি)।
শুক্রবার (২৮ মে) ঢাকা মহানগর উত্তরের বিশিষ্ট নাগরিকদের সাথে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সংগঠনের সহকারি মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ এ অভিযোগের কথা তুলে ধরেন।
বিগত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেয়া এ মেয়র পদপ্রার্থী বলেন, গত বছর ১৩ মে বিনা ভোটে দ্বিতীয় মেয়াদে ঢাকা উত্তর সিটিতে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। নির্বাচনের আগে তিনি ঘোষণা করেছিলেন ৩৮ দফা সম্বলিত ইশতেহার। দায়িত্বগ্রহণের এক বছর পার হলেও তিনি ৩৯ টি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কোনোটিই নগরবাসীর দৃষ্টিগোচর হয়নি। কেবলমাত্র কয়েকটি এলাকায় কিছু লোকের দোকানপাট, ঘরবাড়ি ভাঙ্গার মহড়া দেখেছে নগরবাসী। কারণ এ কাজে পকেট ভারী হওয়ার যথেষ্ঠ সুযোগ রয়েছে। পুনরায় উদ্ধার হওয়া জায়গায় বসতি স্থাপনের মাধ্যমে সিটি করপোরেশন কিংবা এর মেয়রের অ্যাকাউন্টে অর্থ জমা হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। জনগণের ধারণা, এ কারণেই সিটি করপোরেশন জায়গা উদ্ধারের নামে উচ্ছেদ অভিযান বেশ চমৎকারভাবে করে থাকে।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের আগে মেয়ের বলেছিলেন বিগত ৯ মাসে আমি ঢাকা উত্তর সিটির উপরে যথেষ্ট জ্ঞান অর্জন করেছি। আগামীতে আমি সেগুলো কাজে লাগিয়ে নগরবাসীর উন্নয়ন করবো। বাস্তবে এগুলো ছিল তার মুখরোচক স্লোগান মাত্র। মশক নিধনে চরম ব্যর্থতাসহ ইশতেহারে উল্লেখ উল্লেখিত কোনও উন্নয়ন কর্মসূচি আজ পর্যন্ত ঢাকা উত্তর সিটির অধিবাসী দেখতে পায়নি। নগরবাসীর দাবি, বিগত এক বছরে মেয়র মহোদয় তার ইশতেহারের ঠিক কতটি উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছেন জনগণের মুখোমুখি হয়ে তা স্পষ্ট করে বলতে হবে। নগরবাসী কথার কাজীকে দেখতে চায় না, তারা চায় নাগরিক সেবা। মেয়র যদি সেটি করতে ব্যর্থ হন জনগণ তাকেকে উচিত শিক্ষা দিতে ভুল করবে না।
এ সময় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আরিফুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা নুরুল ইসলাম নাঈম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. মুরাদ হোসেন, অর্থ সম্পাদক ডাক্তার মুজিবুর রহমান, প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন (পরশ), দফতর সম্পাদক মুফতি মুহাম্মাদ নিজাম উদ্দিন, ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. শওকত আলী হাওলাদার প্রমুখ।