নাশকতার মামলায় ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলামকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করতে তিন দিনের হেফাজতে পেয়েছি পুলিশ। মোদীবিরোধী আন্দোলনে গত ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররম এলাকায় তাণ্ডব ও নাশকতার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে পল্টন থানায় এ মামলা দায়ের করে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) ঢাকা মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী ভার্চুয়াল শুনানি শেষে রফিকুলের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। কারাগারে থাকা আসামি রফিকুলকে এদিন ভার্চুয়ালি আদালতে হাজির দেখানো হয়।
পল্টন থানার মামলায় পুলিশ রফিকুলকে গ্রেফতার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের হেফাজতে নিতে আবেদন করে। আদালত তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেয়।
এর আগে গত ২২ এপ্রিল ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমানের ভার্চুয়াল আদালতে রফিকুলের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। তখন রফিকুল ইসলাম কারাগারে ছিল। তাকে ভার্চুয়ালি আদালতে উপস্থিত দেখানো হয়। তখন শুনানি শেষে বিচারক সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
‘শিশুবক্তা’ হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলামকে গত ২৫ মার্চ সংঘর্ষের ঘটনায় আটক করে পুলিশ। এর কিছুক্ষণ পরই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। উগ্রবাদের প্রচারসহ নানা অভিযোগে গত ৮ এপ্রিল নেত্রকোণার নিজ বাড়ি থেকে রফিকুলকে আটক করে র্যাব। তখন গাছা থানায় তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়।
গ্রেফতারের সময় রফিকুলের কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এরপর থেকে সে কাশিমপুর কারাগারে আছে। তার বিরুদ্ধে গাজীপুরের বাসন থানায় একটি মামলা হয়েছে।