চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার মারাত্মক আকার ধারণ করার পর জেলাটিতে আলাদা করে সাত দিনের লকডাউন জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। সেখানে সাত জনের শরিরে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বি-১৬১৭ পাওয়া গেছে। এছাড়া, রাজশাহী বিভাগের অন্য ছয় জেলায় আরো ছয় জনের শরীরে এই ভ্যারিয়েন্ট ধরা পরেছে।
শুক্রবার (২৮ মে) রাতে জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা (জিআইএসএআইডি) এর ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সেখানে জিনোম সিকোয়েন্সের তথ্য আপলোড করেছে ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর, আইদেশী এবং আইসিডিডিআর-বি।
জিআইএসএআইডি’র ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ছাড়া অন্য জেলাগুলো হচ্ছে- চুয়াডাঙ্গা, গাইবান্ধা, ঝিনাইদহ, বাগেরহাট, পিরোজপুর এবং খুলনা। এদের নমুনা গত ১৩ মে থেকে ২২ মে এর মধ্যে সংগ্রহ করা হয়।
এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট এর ২০ জনের তথ্য সেখানে জমা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, এমন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সীমান্তবর্তী জেলাটিতে লকডাউন দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতির অবনতি হলে সাতক্ষীরা, রাজশাহী ও খুলনা- এই তিন জেলায়ও লকডাউন দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সূত্র।
সরকারের বিধিনিষেধ না মেনে শপিং ও পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার ঘটনায় আবারও সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ছে। এদিকে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত আরও ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় ১ হাজার ৩৫৮ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। বিশেষ করে এই সংক্রমণ বাড়ছে দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায়।