রাজধানীর একটি বাসা থেকে এলএসডি (লাইসার্জিক অ্যাসিক ডাইথ্যালামাইড) মাদক উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীর ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রবিবার (৩০ মে) দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহর ভার্চুয়াল আদালত শুনানি শেষে এ রিমান্ড আদেশ দেন।
রিমান্ডপ্রাপ্ত ৩ শিক্ষার্থী হলেন- নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সামমান সাকিব (রূপল) ও আসহাব ওয়াদুদ (তুর্য) এবং ইন্ডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আদিন আশরাফ।
এর আগে গেল ২৭ মে ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা মামলায় ৩ শিক্ষার্থীর ৭ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট থানার এসআই সালাহউদ্দিন কাদের। ওই দিন আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়ে রবিবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র হাফিজুরের মৃত্যু তদন্ত করতে গিয়ে রাজধানীর একটি বাসা থেকে এলএসডি (লাইসার্জিক অ্যাসিক ডাইথ্যালামাইড) মাদক উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ। সেইসঙ্গে এ ঘটনায় ৩ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার জানান, এ মাদকটি (এলএসডি) নেদারল্যান্ড থেকে দেশে আনা হয়। দেশে এ ধরনের মাদক জব্দ করার ঘটনা এটিই প্রথম। ফেসবুকে দুটি পেজের মাধ্যমে এ মাদকের ব্যবসা পরিচালনা করা হতো। এ মাদকটির গ্রাহক বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। আর এটি ড্রাগটি উচ্চবিত্তদের জন্য বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র হাফিজুর রহমান গত ১৫ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়ার পর থেকে তার খোঁজ পাচ্ছিল না পরিবার। নিখোঁজের ৮ দিন পর পুলিশের সহায়তায় গত ২৩ মে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে হাফিজুরের লাশ শনাক্ত করেন তার বড় ভাই হাবিবুর রহমান।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়,১৫ মে রাত পৌনে ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে ডাব বিক্রেতার কাছ থেকে দা নিয়ে নিজের গলায় নিজেই আঘাত করেন হাফিজুর। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতানে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়। বেওয়ারিশ হিসেবে তার লাশ রাখা হয় হাসপাতাল মর্গে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে।