অভিবাসীদের অধিকার নিয়ে লেখালেখি করা এক কেনিয়ানের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ এনে গ্রেপ্তার করেছে কাতারের কর্তৃপক্ষ। শনিবারে দেশটির যোগাযোগ দপ্তর (জিসিও) একথা জানিয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
কাতারের কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কাতারের নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের দায়ে ছদ্মনামে লেখালেখি করা ম্যালকম বিদালিকে ৫ মে গ্রেপ্তার করা হয়।
জিসিও এক বিবৃতিতে কোনরকম বিস্তারিত ব্যাখ্যা ছাড়া বলেছে, “গুজব তৈরি করে কাতারে ছড়ানোর জন্য বিদেশি চরের কাছ থেকে অর্থ নেওয়া সংক্রান্ত বিভিন্ন অপরাধের কারণে বিদালির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়েছে।”
বিস্তারিত তদন্তের পর মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, “মামলার শুনানির তারিখ নির্ধারিত হওয়ার আগেই বিদালি আইনি পরামর্শ ও প্রতিনিধিত্ব পাচ্ছেন।”
নিরাপত্তা রক্ষী ও ব্লগার বিদালি মানবাধিকার নিয়ে কাজ করার কারণে প্রতিশোধের শিকার হতে পারেন, তার আটক নিয়ে এমন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো।
শুক্রবার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো এক বিবৃতিতে বলেছে, ২০ মে তার মায়ের সাথে এক ফোনালাপে বিদালি জানিয়েছেন, তাকে নির্জন কারাপ্রকেোষ্ঠে রাখা হয়েছে এবং কোনরকম আইনি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে না।
এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য অনুরোধ করা হলেও জিসিওর কাছ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনরকম সাড়া পাওয়া যায়নি বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
আটকের এক সপ্তাহ আগে কাতারে বিভিন্ন নাগরিক সংস্থা ও শ্রমিক সংগঠনের সদস্যদের বড় একটি দলের সামনে নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে বিদালি কথা বলেছিলেন বলে অন্য এক বিবৃতিতে জানিয়েছে অ্যামনেস্টি, মাইগ্রেন্ট-রাইটস, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, ফেয়ারস্কয়ার, দ্যা বিজনেস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস রিসোর্স সেন্টারের মতো মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো।
কাতার ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ সময় দেশটির মানবাধিকার রেকর্ড, বিশেষ করে অভিবাসীদের থাকার ও কাজের পরিস্থিতি নিয়ে নানা আলোচনা সামনে এসেছে। এসব বিষয়ে কিছু উদ্বেগ নিরসনে দেশটি সম্প্রতি তাদের শ্রম আইন সংস্কার করেছে।