টিকটক মডেল হওয়ার লোভ দেখিয়ে ভারতে নারী পাচার চক্রের হোতা আশরাফুল ইসলাম ওরফে রাফির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে স্ত্রী ও দুই ভাগ্নেকে আটক করেছে ঢাকা র্যাবের একটি বিশেষ টিম।
রোববার (৩০ মে) ভোরে আশরাফুলের গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপার ৬নং সারুটিয়া ইউনিয়নের নাদপাড়াতে এ অভিযান চালানো হয়। পরে আশরাফুলের স্ত্রী ও ভাগ্নেদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক ঝিনাইদহ কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে মূলহোতা আশরাফুলকে আটক করা হয়।
আশরাফুল নাদপাড়া গ্রামের আয়নুদ্দিন মন্ডলের ছেলে। সে মোবাইলে শক্তিশালী সফ্টওয়্যার ব্যবহার করতো বলে জানা যায়।
আশরাফুলের বাবা আয়নুদ্দিন মন্ডল জানান, ঈদের আগে আশরাফুল ভারতের বেঙ্গালুরু থেকে আসার পর গত ২০ মে পুলিশ ঝিনাইদহ কোয়ারেন্টিন সেন্টারে নিয়ে যায়। এরপর তাকে রোববার সকালে সেখান থেকে আটক করতে পারে বলে তিনি জানান। সে ভারতের নাগরিক হিসাবে বেঙ্গালুরে ১২ বছর বসবাস করে আসছে বলে জানান তার বাবা।
নাদপাড়া গ্রামের ইউপি সদস্য ওয়াজেদ আলী জানান, আজ (রবিবার) সকাল ৯টার দিকে আশরাফুলের বাড়িতে দ্বিতীয় দফা অভিযান চালায় র্যাবের বিশেষ দল। এ সময় আশরাফুলের বাংলাদেশের পাসপোর্ট ও একটি পেন ড্রাইভ পাওয়া যায়। অভিযানের সময় আটক আশরাফুলের দুই ভাগ্নেকে পূনরায় নিয়ে আসেন।
নাম প্রকাশ না করলেও র্যাব-৬ ঝিনাইদহ ক্যাম্পের ডিউটি কর্মকর্তা জানান, শৈলকুপাতে র্যাবের বিশেষ একটি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। আমরা এর বেশি কিছু বলতে পারব না।
শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাশেদ আল মামুন জানান, নাদপাড়া গ্রামের আশরাফুল নামের ভারত ফেরত এক ব্যক্তিকে কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়েছিল। গত ২২ তারিখে তার করোনা পরীক্ষার জন্য শরীর থেকে নমুনা নেওয়া হয়। রোববার ভোরে র্যাব ৬’র একটি টিম কোয়রেন্টিন সেন্টার থেকে তাকে নিয়ে যায়। তার করোনা নেগেটিভ বলে তিনি জানান।