কিন্ডারগার্টেন ও সমমনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য বোর্ড গঠন ও শিক্ষকদের প্রশিক্ষণসহ আসছে জাতীয় বাজেটে ১০ হাজার কোটি টাকা আর্থিক প্রণোদনাসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে অভিভাবক-ছাত্র-শিক্ষক জাতীয় মঞ্চ।
মঙ্গলবার (১ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে থেকে এসব দাবি জানানো হয়।
তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হল— ১৩ জুন থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া; শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ধরে পানি ও বিদ্যুৎ বিল আবাসিক হারে নির্ধারণ করা এবং কিন্ডারগার্টেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর নিবন্ধন গতিশীল করা।
মানববন্ধন শিক্ষক- অভিভাবকরা বলেন, পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশেই দীর্ঘ ১৫ মাস যাবৎ একটানা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখাবিহীন বন্দি জীবনযাপন করছে। এতে অনেক শিক্ষার্থী মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ছে, শিশুশ্রমে জড়িয়ে পড়ছে, বাল্যবিবাহের প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, অনেকে মোবাইলে আসক্ত হচ্ছে, মাদকাসক্ত ও কিশোরগ্যাংয়ের মত অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। অনেক কিশোরী টিকটকের মত অশ্লীতায় জড়িয়ে পড়ে, নারী ও শিশু পাচারকারীদের বিভিন্ন প্রলোভনে বিদেশে পাচারের শিকার হচ্ছে। এ ছাড়াও বহু শিক্ষার্থী শিক্ষাজীবন হতেও ঝরে পড়ছে।
বক্তারা বলেন, যেহেতু ‘শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড’ তাই শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের পূর্বেই পুনরায় ছুটি বর্ধিত না করে সরকার ঘোষিত ১৩ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি অবলম্বনে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য জন্য আহবান জানাচ্ছি।
তারা আরও বলেন, দীর্ঘদিন টানা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা মোবাইলে আসক্ত হচ্ছে, বাল্যবিবাহ বেড়েছে, মাদকাসক্ত ও কিশোর অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের আগেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। একইসঙ্গে পাবজি, ফ্রি ফায়ার, টিকটিকসহ অশ্লীল সাইট বন্ধ করারও দাবি জানানো হয়।