প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র পালাউয়ে করোনাভাইরাসে এই প্রথম কোনো ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছে। গতকাল সোমবার প্রথম কারও করোনা শনাক্তের ঘোষণা দেয় পালাউ। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
দেশটির কর্তৃপক্ষ বলছে, পালাউয়ে প্রথম কারও করোনা শনাক্ত হলেও তা থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি নেই। কারণ, শনাক্ত ব্যক্তির আগেই করোনা হয়ে গেছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত মাসের শুরুর দিকে এক ভ্রমণকারী পালাউতে আসেন। পালাউতে আসার পর তার শরীরে করোনা শনাক্ত হয়।
পালাউর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, পালাউতে আসার আগেই ওই ভ্রমণকারীর একবার করোনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় নেগেটিভ আসে। পালাউতে আসার পর তিনি দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। এ পর্যায়ে তার দুবার করোনা পরীক্ষা করা হয়। দুবারই তার নেগেটিভ আসে। পরবর্তী সময়ে তার আরও পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় দেখা যায়, তিনি আগে করোনায় সংক্রমিত হয়েছিলেন।
পালাউর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, পালাউতে আসা যে ভ্রমণকারীর এখন করোনা শনাক্ত হয়েছে, তার থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি নেই। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবমতে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ওই ভ্রমণকারী করোনায় সংক্রমিত হয়েছিলেন।
এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে পালাউর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ওই ব্যক্তির নাম-পরিচয় বা তিনি কোন দেশ থেকে এসেছেন, তা–ও প্রকাশ করেনি পালাউ। পালাউর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সতর্কতার অংশ হিসেবে ওই ব্যক্তিকে আলাদা করে রাখা হয়েছে। তাঁর সান্নিধ্যে কারা কারা এসেছিলেন, তাদের খুঁজে বের করা হচ্ছে।
অল্প সময়ের জন্য পালাউর সঙ্গে তাইওয়ানের একটা যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছিল। তাইওয়ানে সংক্রমণ বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত মাসের শুরুর দিকে এ যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় পালাউ।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র পালাউর আয়তন ৪৬৬ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা প্রায় ২১ হাজার। করোনা মহামারির শুরুতেই সীমান্ত বন্ধ করে দেয় পালাউ। সীমান্ত বন্ধ করার মাধ্যমে তারা করোনার সংক্রমণ এড়াতে সক্ষম হয়। তবে সীমান্ত বন্ধ করায় দেশটির পর্যটননির্ভর অর্থনীতি বিপুল ক্ষতির মুখে পড়ে।