দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছিল মৃদু তাপদাহ। অসহ্য গরমে জনজীবন অস্থির হয়ে উঠেছিল। এরইমধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি সেই হাহুতাশ দূর করেছে। ভ্যাপসা গরমে দিয়েছে স্বস্তির শীতলতা।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে দেশে ভারি বৃষ্টিপাতের কথা আগে থেকেই বলা হচ্ছিল। এরইমধ্যে মঙ্গলবার (১ জুন) সকালে ঘুম ভাঙার আগেই ঢাকাবাসী বৃষ্টির দেখা পেলো।
দম বন্ধ গরমে এমন বৃষ্টি জনমনে স্বস্তি ফেরালেও ভোগান্তিতে পোহাতে হচ্ছে অনেককে। বিশেষত মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়কে তীব্র জলাবদ্ধতা দেখা গেছে। তাতে করে যানবাহন সংকট আর বাড়তি ভাড়া গুণতে হচ্ছে অফিসগামী মানুষদের। অনেকেই বাসার অলিগলি থেকে রিকশায় করে আধভেজা হয়ে অফিসের দিকে রওনা হয়েছেন।
অন্যদিকে ভারি বর্ষণের ফলে বড় বড় সড়কগুলোতে হাঁটু পানি জমতে দেখা গেছে। এতে করে পথচারীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
রাজধানীর কাকরাইলে নাইটেঙ্গেল মোড়ে অফিসগামী এক পথচারী বলেন, ‘সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় হাঁটু পানি জমে যায়। ঢাকার মতো শহরে জলাবদ্ধতা নিরসনে বাস্তবিক কোনও উদ্যোগই নেই। এসব পানিতে প্রচুর ময়লা-আবর্জনা আর জীবাণু। বাধ্য হয়েই পচা পানি ডিঙিয়ে যেতে হচ্ছে।’
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশের ১৯টি অঞ্চলের নদীবন্দরকে এক নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য বলা হয়েছে, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, ঢাকা, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।।
গত ২৪ ঘণ্টায় নেত্রকোনায় ৯৭ মিলিমিটার, রাজারহাটে ৬৮ মিলিমিটার, বরিশালে ৬৬ মিলিমিটার, ডিমলা ৫৩ মিলিমিটার, সাতক্ষীরায় ৪৬ মিলিমিটার, সীতাকুণ্ডে ৪২ মিলিমিটার, ঢাকায় ৪৩ মিলিমিটার, সন্দ্বীপ ও মাদারীপুরে ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় রাঙামাটিতে ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন টাঙ্গাইলে ২৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।