বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কর্তৃক প্রথম থেকে দ্বাদশতম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রায় আড়াই হাজার সনদধারীদের এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৪ সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগের সুপারিশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে ৫৪ হাজার নিবন্ধনধারীকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি স্থগিদের আদেশ রি-কল করেছেন আদালত।
এনটিআরসিএ-এর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার শুনানি নিয়ে সোমবার (৩১ মে) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এদিন আদালতে এনটিআরসিএ’র পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া ও ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন হানিফ।
গত ৬ মে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা মামলার শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ প্রথম থেকে দ্বাদশতম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সনদধারীদের ৭ দিনের মধ্যে নিয়োগের সুপারিশ করতে নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অ্যান্ট্রি লেভেলের ৫৪ হাজারের অধিক শিক্ষক পদে নিয়োগে এনটিআরসিএ’র বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করেন।
গত ১ এপ্রিল এনটিআরসিএ এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইটে ৫৪ হাজার ৩০৪টি শূন্য পদের বিষয় ও পদভিত্তিক তালিকা প্রকাশ করা হয়। তবে, এ নিয়োগ চক্রে ২ হাজার ২০৭টি পদ সংরক্ষণ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে শূন্য পদের সংখ্যা ৩১ হাজার ১০১টি, যার মধ্যে এমপিওভুক্ত ২৬ হাজার ৮৩৮টি এবং নন এমপিও পদ ৪ হাজার ২৬৩টি।
এর আগে গত ৭ মার্চ এনটিআরসিএ কর্তৃক প্রথম থেকে দ্বাদশতম প্রায় আড়াই হাজার সনদধারীদের এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তখন ১৫ দিনের মধ্যে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানকে নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছিল। একইসঙ্গে নিবন্ধনধারীদের নিয়োগ সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন করতে বলেন আদালত। আদালতের এ আদেশ বাস্তবায়ন না করায় পুনরায় এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়।
গেল বছরের ১৫ ডিসেম্বর এনটিআরসিএ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। এই সময়ে আদালত অবমাননার বিষয়ে নিষ্পত্তি না করে তারা শিক্ষক নিয়োগের কোনও বিজ্ঞপ্তি দিতে পারবে না বলে আদেশে বলা হয়। নিবন্ধিত নিয়োগ বঞ্চিত কয়েক শতাধিক প্রার্থীর আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
মাদরাসা, কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনায় ২০ হাজার ৯৯৬টি পদের মধ্যে এমপিওভুক্ত ১৯ হাজার ১৫৪ এবং নন-এমপিও ১ হাজার ৮৪২টি প্রতিষ্ঠান।