মাছের আড়ত নিয়ে বিরোধের জেরে বগুড়ার শাজাহানপুরে চাঞ্চল্যকর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শিহাব উদ্দিন বাবু (৩২) হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। ৩১ মে সোমবার সন্ধ্যায় শাজাহানপুর থানায় নিহত শিহাবের স্ত্রী রুমি খাতুনের দায়ের করা মামলায় সাগর হোসেন নামে একজনকে প্রধান আসামি করে চার জনকে নামীয় ও তিন-চার জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
তবে এজাহারে উল্লেখ করেছেন হত্যাকাণ্ডের শিকারের পরিবার। নিহত শিহাব উদ্দিন বাবু বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার শাবরুল ইউনিয়নের মাথাইল চাপড় গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে
মঙ্গলবার (১ জুন) সকালে শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ ও স্বজনরা জানান, নিহত শিহাব শাহজাহানপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক কমিটির সমাজকল্যাণ সম্পাদক ছিলেন। প্রস্তাবিত নতুন কমিটির যুগ্ম সম্পাদক পদ প্রত্যাশী ছিলেন। শিহাব শাবরুল বাজারে মাছের ব্যবসা করতেন। মাছের আড়ত নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও সেখানে তার কয়েকটি দোকানও রয়েছে। গত ৩০ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিনি বাড়িতে নাশতা শেষে উপজেলার শাবরুল বাজারে এসে একটি চায়ের দোকানে বসেন। এ সময় দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তার ওপর হামলা চালিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে চলে যায়। এর আগে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত বছরের ৪ এপ্রিল শাবরুল এলাকায় খুন হন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী আবু বকর সিদ্দিক (২৪)। ওই হত্যাকাণ্ড মামলায় নিহত শিহাব এজাহারনামীয় আসামি ছিলেন।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই নিহতের স্ত্রী রুমি খাতুন, শাজাহানপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান ও অন্যরা শাবরুল এলাকার গোলাম মোস্তফার ছেলে সাগর হোসেনকে দায়ী করে আসছেন। তবে একটি মামলায় সাগর ঈদের আগে জামিনে জেল থেকে বের হয়েছে। শাবরুল বাজারে মাছের আড়ত নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সাগরের সঙ্গে শিহাবের বিরোধ চলে আসছিল। গত ৩০ মে রবিবার সন্ধ্যায় প্রকাশ্যে এ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এ প্রসঙ্গে শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামনুম জানান, নিহতের স্ত্রী এ হত্যাকাণ্ডের জন্য শাবরুল বাজারে মাছের আড়ত নিয়ে বিরোধকে দায়ী করেছেন। এজাহারে অপর ব্যবসায়ী সাগর হোসেনকে প্রধান করে চার জন নামীয় ও অজ্ঞাত তিন-চার জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে রয়েছে।