দক্ষিণ কোরিয়া ১৯৮৮ সালের পর রফতানিতে গত মাসে প্রবৃদ্ধির রেকর্ড গড়েছে। কভিড-১৯ মহামারির প্রভাব সত্ত্বেও রেকর্ড পরিমাণ রফতানি করেছে দেশটি। গত বছর করোনার কারণে রফতানি তীব্র পতনের তুলনায় মে মাসে বেড়েছে ৪৫ দশমিক ৬ শতাংশ। খবর ব্লুমবার্গ।
গতকাল দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত মাসে ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাসের বিপরীতে রফতানি বেড়েছে ৪৫ দশমিক ৬ শতাংশ। পাশাপাশি দেশটি থেকে চীনে রফতানি বেড়েছে ২২ দশমিক ৭ শতাংশ। যেখানে চিপ রফতানি বেড়েছে ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ।
আইএইচএস মার্কিটের পৃথক একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশের উৎপাদন খাতটি ধীরগতিতে প্রসারিত হয়েছে। মে মাসে পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেস্ক আগের মাসের তুলনায় কিছুটা কমে ৫৩ দশমিক ৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
করোনার কারণে গত বছর দক্ষিণ কোরিয়ার রফতানি প্রবৃদ্ধি ২৪ শতাংশ কমে গিয়েছিল। বর্তমানে রফতানি বৃদ্ধির বিষয়টি ইঙ্গিত দিচ্ছে, বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য করোনা থেকে পুনরুদ্ধার হচ্ছে এবং কোরিয়ার অর্থনৈতিক প্রসারকে বাড়িয়ে তুলছে। যুক্তরাষ্ট্রের মতো বৃহৎ অর্থনীতিতে টিকাদান কার্যক্রম ব্যবসায়িক বিধিনিষেধগুলো আরো শিথিল করার এবং গ্রাহকের আস্থা দৃঢ় করার সুযোগ দিয়েছে।
এপ্রিলে দক্ষিণ কোরিয়া ৫ হাজার ১২০ কোটি ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছিল। সেখানে গত মাসে রফতানি কিছুটা কমে ৫ হাজার ৭০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে তিন কর্মদিবস কম থাকায় রফতানি কিছুটা কমেছে।
ব্লুমবার্গ ইকোনমিকসের অর্থনীতিবিদ জাস্টিন জিমনেজ বলেন, টিকাদান কার্যক্রম ত্বরান্বিত এবং অর্থনীতি আবার খুলে দেয়া হচ্ছে। এর সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহকরা তাদের ব্যয় পণ্য থেকে পরিষেবায় স্থানান্তর করায় মিতব্যয়িতার লক্ষণও ফুটে উঠছে।