সেই তরুণী দেশে ফিরে জানালেন ‘লোমহর্ষক বর্ণনা’ সেই তরুণী দেশে ফিরে জানালেন ‘লোমহর্ষক বর্ণনা’ – Sabuj Bangla Tv
  1. shahinit.mail@gmail.com : admin :
  2. khandakarshahin@gmail.com : সবুজ বাংলা টিভি : সবুজ বাংলা টিভি
  3. wpapitest@config.com : wpapitest :
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:০৩ অপরাহ্ন
নোটিশ-
বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন টিভি চ্যানেল সবুজবাংলা টিভি এর জেলা/উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে...

সেই তরুণী দেশে ফিরে জানালেন ‘লোমহর্ষক বর্ণনা’

সবুজ বাংলা টিভি
  • প্রকাশ কাল | বুধবার, ২ জুন, ২০২১
  • ১৭৮ পাঠক

টিকটকের মাধ্যমের পরিচয়ের সূত্র ধরে টিকটক স্টার বানানোর কথা বলে রাজধানীর মগবাজার এলাকার এক তরুণীতে কৌশলে ভারতে পাচার করা হয়। সেখানে গিয়ে শারীরিক ও বিকৃত যৌন নিপীড়নের শিকার হন ওই তরুণী। এমনকি তাকে পতিতাবৃত্তিতেও বাধ্য করা হয়। নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী ৭৭ দিন পর পালিয়ে দেশে ফিরেন।

ভারত থেকে ফিরে ভুক্তভোগী ওই তরুণী জানান, সেখানে তিনি অনেক বাংলাদেশি তরুণীকে দেখেছেন। যারা বিভিন্ন সময় এই চক্রের মাধ্যমে পাচার হয়েছেন। তিনি মঙ্গলবার (১ জুন) রাতে হাতিরঝিল থানায় মানবপাচার প্রতিরোধ আইনে একটি মামলা করেছেন।

হাতিরঝিল থানা পুলিশ জানিয়েছে, মামলায় ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। যার মধ্যে ৫ জন বর্তমানে দেশে অবস্থান করছেন। মামলায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১ জুন) রাতেই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী দাবকপাড়া কালিয়ানী এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মেহেদী হাসান বাবু, মহিউদ্দিন ও আব্দুল কাদের। যারা ভারতে প্রায় হাজারখানেক নারীকে পাচারে সীমান্ত পার করে দিতে সরাসরি ভূমিকা রেখেছেন।

২০১৯ সালে হাতিরঝিলের মধুবাগ ব্রিজে টিকটক হৃদয়ের সঙ্গে পরিচয় হয় ভুক্তভোগী তরুণীর। কখনও টিকটক স্টার বানাতে চেয়ে, কখনও ভালো বেতনের চাকরির অফার দিয়ে ভিকটিমকে নানাভাবে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করেন হৃদয়।

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নারায়ণগঞ্জের অ্যাডভেঞ্চার ল্যান্ড পার্কে ৭০-৮০ জনকে নিয়ে টিকটক হ্যাংআউট করেন হৃদয়। পরে একই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের আফরিন গার্ডেন রিসোর্টে ৭০০-৮০০ জন তরুণ-তরুণীকে নিয়ে পুল পার্টির আয়োজন করা হয়।

২০২১ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ায় বাউল লালন শাহ মাজারে আয়োজিত টিকটিক হ্যাংআউটে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে হৃদয় এই তরুণীকে চক্রের অন্যান্যদের সহায়তায় সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার করে দেন।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ওই তরুণী জানিয়েছেন, ভারতের পাচারের পর তাকে ব্যাঙ্গালুরুর আনন্দপুর এলাকায় পর্যায়ক্রমে কয়েকটি বাসায় রাখা হয়। এসময় ভারতে এ চক্রের দ্বারা পাচারকৃত আরও কয়েকজন বাংলাদেশি ভিকটিমকে সেখানে দেখতে পান। যাদেরকে সুপার মার্কেট, সুপার শপ বা বিউটি পার্লারে ভালো বেতনে চাকরির কথা বলে পাচার করা হয়েছিল।

ভুক্তভোগী ওই তরুণী জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানান, ব্যাঙ্গুলুরুতে পৌঁছানোর কয়েকদিন পরই তাকে চেন্নাইয়ের অয়ো (Oyo) হোটেলে ১০ দিনের জন্য পাঠানো হয়। সেখানে বিবৃত যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয় তাকে। কৌশলে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে কিংবা জোরপূর্বক বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে পরিবারের সদস্য বা পরিচিতদের পাঠিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে জিম্মি করে রাখা হয়েছিল ওই তরুণীকে। পাচারকারী চক্রের খপ্পরে পড়ার পর থেকে পালিয়ে দেশে ফেরা ওই কিশোরীর করা মামলার এজাহারে ও তদন্তে উঠে এসেছে লোমহর্ষক সেইসব দিনগুলোর বর্ণনা।

ভুক্তভোগীর তরুণীর করা মামলায় ১২ জন পাচারকারীর মধ্যে ৫ জন বাংলাদেশে অবস্থান করছে। তাদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের অন্যতম হোতা টিকটক হৃদয়। গ্রেফতার তিনজনই একই চক্রের সদস্য। বাকি ৭ জন ভারতীয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

আমাদের সংবাদটি শেয়ার করুন..

এ পাতার আরও খবর

Sabuj Bangla Tv © All rights reserved- 2011| Developed By

Theme Customized BY WooHostBD