নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আলিম পরীক্ষার্থী ছেলে হত্যার অভিযোগে মা নাসরিন আক্তার পলাতক ছিলেন। সোমবার (৩১ মে) বিকেলে নরসিংদী শহরের বাজিড়মোড়ের নিরালা নামক আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে এক নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই নারী হোটেলের রেজিস্টারে নাম রেহানা আক্তার বলে উল্লেখ করেছিলেন।
তবে নরসিংদীর পুলিশের অনুসন্ধানে মিলে জাতীয় পরিচয় পত্র থেকে নাসরিন আক্তার (৩০), পিতা আবু তাহের, মাতা ফাতেমা জোহরা, গ্রাম ডৌকাদি, নরসিংদী।
নরসিংদী সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) লিভাস চক্রবর্তী জানান, সোমবার বিকেলে ৩টায় শহরের বাজিড়মোড়ের নিরালা নামক আবাসিক হোটেলের ৬নং কক্ষের দরজা বন্ধ থাকায় ও তার সাড়া না পেয়ে সদর থানায় খবর দেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ। খবর পেয়ে বিকাল সাড়ে ৩টায় কক্ষের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে জানালার গ্রীলের সাথে ওই নারীর ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পাই।
এই নারীর সাথে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আলিম পরীক্ষার্থী ছেলে হত্যার অভিযুক্ত মায়ের সাথে মিল আছে কিনা সে বিষয়ে এখনো জানা যায়নি। তবে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের একটি টিম এসেছে বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য।
তিনি আরও জানান, আমরা ওই নারীর জাতীয় পরিচয় পত্র উদ্ধার করেছি সেখানে যে নাম দেয়া, সেই নামের সাথে হোটেল রেজিস্ট্রারের নামের সাথে মিল পাওয়া যায়নি। হোটেল রেজিস্ট্রারে তার নাম ঠিকানা লেখা হয় রেহানা আক্তার (৩০), পিতা আবু তাহের, মাতা ফাতেমা জোহরা, গ্রাম ডৌকাদি, নরসিংদী। ইতিমধ্যে ওই নারীর মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মশিউর রহমান এ বিষয়ে বলেন, গতকাল দিবাগত রাত ১টায় নরসিংদীতে এক নারীর লাশ উদ্ধারের খবর পাই। বাবার নাম ও চেহারায় মিল পেয়েছি আমরা। লাশ শনাক্ত করতে থানা থেকে পুলিশের একটি টিম পাঠিয়েছি। বাকিটা তদন্ত করে বলা যাবে।
উল্লেখ্য, সিদ্ধিরগঞ্জে নাজমুছ সাকিব নাবিল (২০) নামে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। গত রোববার (৩০ মে) রাত আড়াইটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নাবিলের মৃত্যুর জন্য নিহতের মা নাসরিন আক্তারকে দায়ী করছেন বাবা সগির আহমেদ। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় নাসরিন আক্তারকে আসামি করে একটি হত্যা মামলাও দায়ের করেছেন। তবে আসামি নাসরিন পলাতক রয়েছেন বলে জানান থানার ওসি মশিউর রহমান।