ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের-ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, অবৈধ দখলদারদের নামে কোনও বৈধ নোটিশ ইস্যু করা হবে না, বিনা নোটিশেই তাদেরকে উচ্ছেদ করা হবে।
বুধবার (২ জুন) রাজধানীর মিরপুর-১৪ এলাকায় বাউনিয়া খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান সরেজমিনে পরিদর্শনকালে মেয়র এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, খালটি ৬০ ফুট প্রশস্থ থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে তা নেই। এর আগে একাধিকবার চেষ্টা করেও খালটি উদ্ধার করা যায়নি বলেই আজ বিনা নোটিশেই এই অভিযান পরিচালনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক নগরীর খাল ও নদীগুলো উদ্ধার করে তা যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। ইতোমধ্যে যারা অবৈধভাবে খাল ও নদী দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছেন তাদেরকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অবৈধ দখল ছেড়ে দিতে হবে অন্যথায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ স্থাপনাগুলো ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়া হবে।
মেয়র বলেন, অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে সকলকে সোচ্চার হতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অবৈধ দখলে থাকা সরকারী জমিগুলো উদ্ধার করে সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।
উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধানে সুপরিকল্পিত ৩টি জলাধারের জন্য প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু জলাধারের জন্য নির্ধারিত জমির অধিকাংশই অবৈধ দখলদারদের দখলে রয়েছে, যা খুবই দুঃখজনক। ইতোমধ্যে ডিএনসিসি বিভিন্ন জায়গায় খাল উদ্ধার ও পরিস্কার কার্যক্রম শুরু করেছে, জনগণের সহায়তায় তা অব্যাহত থাকবে। প্রতিটি খালের দুই পাড়ের সীমানা নির্ধারণ করে তা যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন কাজ করে যাচ্ছে। আগামী ২ বছরের মধ্যেই নগরবাসী এর সুফল পাবে।
তিনি আরও বলেন, মেয়র আতিক কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী বলেই পহেলা জুন ঢাকায় দীর্ঘ সময় ধরে রেকর্ড ৮৫ মিলিমিটার পরিমাণ বৃষ্টিপাত হলেও দ্রুততম সময়ের মধ্যেই নগরবাসীকে জলাবদ্ধতা মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এম সাইদুর রহমান এবং স্থানীয় কাউন্সিলর মো জামাল মোস্তফা উপস্থিত ছিলেন।