দেশে আসা করোনাভাইরাসের তৃতীয় টিকা ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা আগামী সপ্তাহ শেষ থেকে প্রয়োগ করা শুরুর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। বুধবার (২ জুন) সংবাদ বুলেটিনে অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম এতথ্য জানান।
গত সোমবার রাতে বিশ্বে টিকা বিতরণে বৈশ্বিক জোট কোভ্যাক্স থেকে ফাইজার-বায়োএনটেকের ১ লাখ ৬২০ ডোজ টিকা ঢাকায় পৌঁছায়। এর আগে দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনকার কোভিশিল্ড এবং চীনের সিনোফার্মের টিকা দেশে প্রয়োগ শুরু হয়েছে।
ডা. নাজমুল জানান, অতি শীতল তাপমাত্রায় রাখা হয় বলে ফাইজারের টিকা দেওয়ার আগে ‘সক্রিয় টিকায়’ রূপান্তর করতে ডাইলুয়েটের প্রয়োজন হয়। কোভ্যাক্স থেকে আগামী ৭ জুন বাংলাদেশে এই ডাইলুয়েটর এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এর পর বাকি আনুষ্ঠানিকতা শেষে আমরা আশা করছি আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এ টিকা প্রয়োগ শুরু হবে।
তিনি আরো জানান, যেহেতু ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার পরিমাণ অনেক কম, এ কারণে ইতোমধ্যে যারা সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করেছেন তাদের মধ্য থেকেই দেওয়া হবে।
ফাইজারের টিকা দেওয়ার সেন্টার এখনো চূড়ান্ত হয়নি জানিয়ে ডা. নাজমুল বলেন, টিকাদান কেন্দ্রের জন্য অনেকগুলো হাসপাতাল বিবেচনায় আছে। চূড়ান্ত বিবেচনায় টিকা যেখানে রাখা হয়েছে, সেখান থেকে কেন্দ্রের দূরত্ব, সেখানকার লোকবল এবং অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করা হবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্র জানায়, ফাইজারের টিকা আসছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগী কোভ্যাক্স গ্রুপ থেকে। কোভ্যাক্স থেকে প্রথম ধাপে বিনা মূল্যে দেশের ১১ শতাংশ মানুষের জন্য টিকা আসার কথা রয়েছে। পরে সরকার চাইলে ওই গ্রুপ থেকে কিনে আরো টিকা আনতে পারবে।