বাজেট ঘাটতির বিষয় নতুন কিছু নয় বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাজেটে ঘাটতি হবেই। এটি নতুন কিছু নয়। শুক্রবার (৪ জুন) প্রস্তাবিত বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাজেটে ঘাটতির বিষয়টি ভবিষ্যতের ব্যাপার। সঠিক পরিকল্পনায় বাজেট ঘাটতি সমাধান করা হবে। তারপরও কিছু কিছু মানুষের প্রশ্ন থাকে। আমি বলব গত কয়েক বছরে আমাদের সরকারের কার্যক্রম লক্ষ্য করলেই বোঝা যায়, আমাদের সক্ষমতা আছে।
তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে আমরা সফলতার সঙ্গ বাজেট দিয়েছি এবং বাধা-বিপত্তি মোকাবিলা করেছি। আমাদের এমন কোনও ভয়ের বিষয় নেই যে, আমরা বাজেট দিয়ে বাস্তবায়ন করতে পারবো না। আত্মবিশ্বাস নিয়ে বাজেট দিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, অর্থের যোগান দিতেও কোনও সমস্যা হওয়ার কথা না। কারণ আমাদের ঋণ পরিশোধ করার ভালো রেকর্ড আছে। আমরা সময়মতো ঋণের টাকা পরিশোধ করে যাচ্ছি। সার্বিকভাবে ইতিবাচক দেখি বলেই উন্নয়নের সব সূচক ধরে রাখতে পেরেছি। জিডিপি, মাথাপিছু আয়সহ সবকিছু ভালো অবস্থানে রয়েছে। সুতরাং আমি কোনও ভাবেই ভয় পাচ্ছি না।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। নতুন অর্থবছরে ‘জীবন ও জীবিকার প্রাধান্য, আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। দেশের ইতিহাসের সবচেয় বড় ঘাটতি বাজেট হতে যাচ্ছে ৫০তম বাজেট। আলোচিত এই বাজেটে অনুদানসহ ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ১১ হাজার ১৯১ কোটি টাকা। যা জিডিপির ৬ দশমিক ১ শতাংশ। অনুদান বাদ দিলে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়ায় ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা।