ভারতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ব্যাপক সংক্রমণ ও প্রাণহানির পর অবশেষে কমতে শুরু করেছে। শুক্রবার দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ২০ হাজার ৫২৯ জন। দৈনিক আক্রান্তের হিসেবে গত ৫৮ দিনে এই সংখ্যা সর্বনিম্ন।
তবে এদিন এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। শুক্রবার দেশটিতে মারা গেছেন ৩৩৮২ জন। যেখানে বৃহস্পতিবার এ সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৭০৬ জন। দেশটিতে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৫৫ হাজার ২৪৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমেছে ৮০ হাজার ৭৪৫।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বুলেটিনে বলা হয়েছে, মহামারি শুরুর পর ভারতে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ২ কোটি ৬৭ লাখ মানুষ। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৯৪ জন।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ভারতের জাতীয় দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন, টানা ২৩ দিন ধরে ভারতে দৈনিক আক্রান্তের তুলনায় সুস্থ হয়ে ওঠাদের সংখ্যা বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্তমানে দেশটিতে করোনা থেকে আরোগ্য লাভের শতকরা হার ৯৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
ভারতে করোনায় ‘পজিটিভ’ শনাক্তের শতকরা হার সাপ্তাহিক হিসেবে ৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং দৈনিক হিসেবে বর্তমানে এই হার ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ। টানা ১২ দিন ধরে এই হার ১০ শতাংশের নিচে আছে।
গত ১৬ জানুয়ারি থেকে ভারতে শুরু হয়েছে গণটিকাদান কর্মসূচি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত দেশের ২২ কোটি ৭৮ লাখ ৬০ হাজার ৩১৭ জনকে এ পর্যন্ত টিকার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।
ভারতে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি, কেরালায়। তার পর থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২ কোটি ৮৬ লাখ ৯৩ হাজার ৮৩৫ জন এবং মারা গেছেন মোট ৩ লাখ ৪৪ হাজার ১০১ জন। গত তিন সপ্তাহে দেশটিতে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৮৫ হাজারেরও বেশি মানুষের।