মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে স্বামীর হাতে স্ত্রী পারভীন হত্যা মামলায় ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দিয়েছে পুলিশ।
রোববার (৬ জুন) মুন্সিগঞ্জ আমলি আদালতে অভিযোগপত্র দেয় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শ্রীনগর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. আজগর হোসেন। এটি মুন্সিগঞ্জের সবচেয়ে দ্রুত ও কমসময়ে মধ্যে অভিযোগপত্র দাখিলে রেকর্ড বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন।
এসপি মোমেন বলেন, ঘটনার পর থেকেই পুলিশ অভিযানে নামে। দ্রুত সময়ের মধ্যে পুলিশ আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। পরে আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। একইসঙ্গে পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র ও রক্তমাখা জামা জব্দ করে।
গত বুধবার (২ জুন) জমির মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাসানোর জন্য ধারালো কাস্তে দিয়ে স্ত্রী পারভীনের গলা কেটে হত্যা করে স্বামী অহিদুল।
গত ৪ জুন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) আসাদুজ্জামান প্রেস ব্রিফিং করে জানান, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের স্ত্রী পারভীন বেগমকে হত্যার পরিকল্পনা করে অহিদুল। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২ জুন রাতে স্ত্রীকে বাড়ি থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে আড়িয়াল বিল সংলগ্ন কামলাডাঙ্গার বিলে নিয়ে যান তিনি। সেখানে রাত আড়াইটার দিকে স্ত্রী পারভীন বেগমকে জবাই করে হত্যা করে।
তিনি আরও জানান, মরদেহ গুম করার জন্য বিলের একটি পুকুরে কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে রাখে। পরে হত্যাকারী অহিদুল বাড়িতে এসে নিজ গায়ের জামা কাপড় পাল্টে এলাকায় বলাবলি করে প্রতিবেশী রাজা মিয়া তাকে ও তার স্ত্রীকে তুলে বিলে নিয়ে গিয়ে মারধর করেছে, সে কোনোমতে পালিয়ে এসেছে। খবর পেয়ে শ্রীনগর থানা পুলিশ ৩ জুন ঘটনাস্থল থেকে পারভীন আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে এবং স্বামী অহিদুলকে আটক করে। পরে মুন্সিগঞ্জ আদালতে অহিদুল স্ত্রীকে হত্যা ও নেপথ্যের কারণ জানিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এএসপি আসাদুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় পারভীন বেগমের ভাই বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে তা মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়।