বস্তিবাসীদের জন্য স্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়ে মিরজা খরুআগীর বলেছেন, ‘সরকার হাজার হাজার কোটি টাকার মেগা প্রজেক্ট করছে। ১০ হাজার টাকার প্রজেক্ট ৫০ হাজার হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই ছিন্নমূল মানুষলোর জন্য কেউ কোনও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। বাংলাদেশে সরকারের যে জমি, সেই জমিগুলোইতো বরাদ্দ করা যায়।এটা কঠিন কিছু নয়
মঙ্গলবার (৮ জুন) মহাখালীর সাততলা বস্তিতে আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের দেখতে গিয়ে সাবদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ক্ষতিগ্রস্ত বস্তিবাসীদের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আপনাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করছি। আমাদের সঙ্গে আপনাদের এই এলাকার মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আওয়াল আছেন। যদিও সরকারের নির্বাচন কমিশন তাদেরকে হারিয়ে দিয়েছে। তারপরও জনগণের নির্বাচিত মেয়র তাবিথ। আমি আশা করি, আগামী ২/১ দিনের মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সামান্য হলেও দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার কথা হলো – সরকারের প্রথম প্রায়োরিটি হওয়া উচিত এদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করা। দ্বিতীয়ত, এখানে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদেরকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আগুনের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে, কি কারণে আগুন লাগলো কেন লাগলো। এদের (বস্তিবাসীদের) জন্য দীর্ঘস্থায়ী ব্যবস্থা কি করা যায়, তার জন্য অবশ্যই সরকারকে পরিকল্পনা নিতে হবে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এখানে ভাসমান মানুষদের কেউ গৃহপরিচারিকার কাজ করেন, কেউ রিকশা চালান, কেউ বুট পালিশ করেন। একেবারেই বাস্তুহারা ছিন্নমূল মানুষগুলো এই ধরণের বস্তিতে বসবাস করেন। আজকে ৫০ বছর হয়ে গেল, কিন্তু মানুষের মৌলিক যে অধিকার, প্রতিটি মানুষের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করা, অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান মানুষের মৌলিক অধিকার, দুর্ভাগ্য স্বাধীনতার ৫০ বছরেও আমরা সেটা করতে পারিনি।’
এসময় মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়াল, মহানগর উত্তর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মুনসী বজলুল বাসিত আনজু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম নকি, যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।
