হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকী আর তিন আসনে উপ নির্বাচনের দিন মিলে যাওয়ায় ভোটের তারিখ পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছে জাতীয় পার্টি।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সঙ্গে দেখা করে জাপার একটি প্রতিনিধি দল।
দলের মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর নেতৃত্বে এ সময় সিইসির কাছে এক স্মারকলিপিতে এ দাবি জানানো হয়।
আগামী ১৪ জুলাই সিলেট-৩, ঢাকা-১৪ ও কুমিল্লা-৫ আসনে উপ নির্বাচনের তারিখ রেখে সম্প্রতি তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
আর এরশাদের জীবনাবসান ঘটে ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই।
২০২০ সালের ১৪ জুলাই বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসরে উপ নির্বাচন হয়েছিল। সে সময়ও দলটি তারিখ পরিবর্তনের দাবি তুলেছিল, তবে তাতে সাড়া দেয়নি ইসি।
জাতীয় পার্টির স্মারকলিপিতে বলা হয়, পল্লীবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে এবারও ভোটের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে জাপা কর্মী সমর্থকসহ সারাদেশের এরশাদভক্তরা কষ্ট পাচ্ছে। … এরশাদ শুধু একজন ব্যক্তি নয়, একটি প্রতিষ্ঠান। জাপা মহান সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করছে। এ অবস্থায় এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে উপ নির্বাচন খুবই দুঃখজনক ও বেদনাদায়ক।
সেজন্য ১৪ জুলাই উপ নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করে অন্য যে কোনো দিন ভোট করার দাবি জানানো হয় স্মারকলিপিতে।
সিইসির কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার পর বাবলু সাংবাদিকদের বলেন, সিইসিসহ অন্যান্য যারা ছিলেন, তারা আমাদের কথা অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে শুনেছেন।… তিনি (সিইসি) বলেছেন- আমি একা কিছু করতে পারব না। পুরো কমিশন বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা বসে আপনাদের পরে এ বিষয়ে জানাব।
নির্বাচন নিয়ে অনেক ‘প্রশ্ন আছে’ মন্তব্য করে জাতীয় পার্টি মহাসচিব বলেন, তারপরও আমরা জাতীয় পার্টির বক্তব্য নিয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে চাই। সেজন্য আমরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন থেকে শুরু করে সকল নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করি। আমরা নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী।
তিনি বলেন, ১৪ জুলাই হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে আমরা কোনো নির্বাচন চাই না। ওই দিনে উপ-নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত থাকলে নির্বাচনের ব্যাপারে আমাদের চিন্তা-ভাবনা করতে হবে।
বাবলু বলেন, ১৪ জুলাই ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে নানা কর্মসূচি পালন করবে জাতীয় পার্টি। তাই সেদিন নির্বাচনে অংশ নেওয়া পার্টির জন্য দুরূহ হয়ে পড়বে।
তিনি বলেন, ওই দিন জাতীয় পার্টি নির্বাচনের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকবে না। তাই পার্র্টির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাথে বৈঠক করে আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি।
অন্যদের মধ্যে জাতীয় পার্র্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব মো. বেলাল হোসেন সেখানে উপস্থিত ছিলেন।