সীমান্ত জেলা সাতক্ষীরায় করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ পরিস্থিতি রূপ নিয়েছে। এক সপ্তাহের বিশেষ লকডাউনের পঞ্চম দিনে আরও ১০৮ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৫৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
এ সময় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ৪ জন। তারা হলেন— শ্যামনগর উপজেলার নৈকাটি গ্রামের মৃত কালাচাঁনের ছেলে সামাদ শেখ
(৫৫), সাতক্ষীরা শহরের রাজারবাগান এলাকার মৃত পুনাই মিস্ত্রির ছেলে নাছির আলী মিস্ত্রি (৭০), সাতক্ষীরা সদরের আকড়াখোলা গ্রামেরে মৃত বাকেরের ছেলে মিজানুর রহমান (৫০) এবং শ্যামনগরের জয়নগরের মৃত মাজেদ বক্সের ছেলে এলন বক্স (৮০)।
বর্তমানে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল, বিভিন্ন ক্লিনিক ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং হোম আইসোলেশনে করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫০১ জন।
ঈদের পর গত ২৩ মে থেকে সাতক্ষীরা জেলায় করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রামণ শুরু হয়। এক পর্যায়ে জেলা প্রশাসন গত ৫ জুন থেকে জেলাব্যাপী এক সপ্তাহের বিশেষ লকডাউন ঘোষণা করে। লকডাউন বাস্তবায়নে সাতক্ষীরা শহরের বিভিন্নস্থানে পুলিশ কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে।
এদিকে সাতক্ষীরা সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবির অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারত থেকে অবৈধপথে দেশে ফেরা আরও ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে সীমান্ত এলাকায় স্থাপিত দুটি কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।