বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শর্টকাট কোনো রাস্তা নেই। একটা যুদ্ধ যখন করতে হবে, সেই যুদ্ধে আপনাকে পুরোপুরিভাবে ইকুইপ্ট হতে হবে। যুদ্ধ করতেই হবে।
আজ বুধবার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জিয়াউর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বই প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে এখন দুই শত্রু। একদিকে আওয়ামী লীগ শত্রু, আরেকদিকে করোনা শত্রু। এই শত্রু, এই দুই দানব তছনছ করে দিচ্ছে আমাদের সব কিছু। সেজন্য আমরা বাধাগ্রস্ত হচ্ছি। কিন্তু এটাকে আমাদের জয় করতে হবে তো।
তিনি বলেন, পৃথিবীর সমস্ত বড় বড় বিজয়, বড় বড় বিপ্লব, বড় বড় অর্জন কিন্তু একটা শ্লোগানে- আমরা করব জয়। এই শ্লোগান দিয়েই আমাদেরকে জয় করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এরা (আওয়ামী লীগ) আপনাদের এমনি এমনি ক্ষমতা দিয়ে দেবে না। এরা একেবারে ডিক্টেটর বনে গেছে, কর্তৃত্ববাদী বনে গেছে এবং জানে যে, নির্বাচন করে তারা কোনো দিন জিততে পারবে না। সুতরাং নির্বাচন নির্বাচন খেলা করবে।
ওদের কথায় এখন ঘোড়াও হাসে
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে সরকার ‘মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে’ বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ওদের কথার কী উত্তর দেব, ওদের কথায় তো ঘোড়াও হাসে। কখন কী বলেন না বলেন তারা নিজেরাও জানেন না।
তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, মিথ্যা কথা প্রচার করতে করতে ওরা এখন জিয়াউর রহমানকে মুক্তিযোদ্ধা তো দূরের কথা, স্বাধীনতার ঘোষক দূরের কথা, জিয়াউর রহমানকে পাকিস্তানের চর বানিয়েছেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের বেশি করে বই পড়তে হবে। জিয়াউর রহমানকে জানতে হলে তার ওপর লেখা বই পড়তে হবে। আমাদের স্বাধীনতাকে জানতে হলে বই পড়তে হবে।
জিয়াকে নিয়ে লেখা বিভিন্ন বইয়ের পাশাপাশি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা পড়ারও পরামর্শ দেন তিনি।
জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালামের সভাপতিত্বে পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক মো. জহির দিপ্তী আলোচনা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেনে বুলবুল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল।
অনুষ্ঠানে জিয়া স্মৃতি পরিষদের মো. শহিদুল ইসলাম, সাঈদ উদ জামান, সঞ্জয় দে রিপনসহ অন্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।